এই সঙ্গীতমুখরিত গগনে
তব গন্ধ তরঙ্গিয়া তুলিয়ো।
এই বাহির-ভুবনে দিশা হারায়ে
দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে।
একি নিবিড় বেদনা বনমাঝে
আজি পল্লবে পল্লবে বাজে—
দূরে গগনে কাহার পথ চাহিয়া
আজি ব্যাকুল বসুন্ধরা সাজে।
মোর পরানে দখিনবায়ু লাগিছে,
কারে দ্বারে দ্বারে কর হানি মাগিছে—
এই সৌরভবিহ্বল রজনী
কার চরণে ধরণীতলে লাগিছে।
ওহে সুন্দর, বল্লভ, কান্ত,
তব গম্ভীর আহ্বান কারে।
১৯১
এনেছ ওই শিরীষ বকুল আমের মুকুল সাজিখানি হাতে করে।
কবে যে সব ফুরিয়ে দেবে, চলে যাবে দিগন্তরে।
পথিক, তোমায় আছে জানা, করব না গো তোমায় মানা—
যাবার বেলায় যেয়ো যেয়ো বিজয়মালা মাথায় প’রে।
তবু তুমি আছ যতক্ষণ
অসীম হয়ে ওঠে হিয়ায় তোমারি মিলন।
যখন যাবে তখন প্রাণে বিরহ মোর ভরবে গানে—
দূরের কথা সুরে বাজে সকল বেলা ব্যথায় ভ’রে।
১৯২
ও মঞ্জরী, ও মঞ্জরী আমের মঞ্জরী,
আজ হৃদয় তোমার উদাস হয়ে পড়ছে কি ঝরি।