ওগো, কে আছে চাহিয়া শূন্য পথপানে,
কাহার জীবনে নাহি সুখ, কাহার পরান জ্বলে!
পড় নি কাহার নয়নের ভাষা,
বোঝ নি কাহার মরমের আশা,
দেখ নি ফিরে—
কার ব্যাকুল প্রাণের সাধ এসেছ দ’লে।
অমর। আমি কারেও বুঝি নে, শুধু বুঝেছি তোমারে।
তোমাতে পেয়েছি আলো সংশয়-আঁধারে।
ফিরিয়াছি এ ভুবন, পাই নি তো কারো মন,
গিয়েছি তোমারি শুধু মনের মাঝারে।
এ সংসারে কে ফিরাবে— কে লইবে ডাকি
আজিও বুঝিতে নারি, ভয়ে ভয়ে থাকি।
কেবলই তোমারে জানি, বুঝেছি তোমার বাণী,
তোমাতে পেয়েছি কূল অকূল পাথারে।
প্রস্থান
সখীগণ। প্রভাত হইল নিশি কানন ঘুরে,
বিরহবিধুর হিয়া মরিল ঝুরে।
ম্লান শশী অস্তে গেল, ম্লান হাসি মিলাইল—
কাঁদিয়া উঠিল প্রাণ কাতর সুরে।
প্রমদার প্রবেশ
প্রমদা। চল্ সখী, চল্ তবে ঘরেতে ফিরে—
যাক ভেসে ম্লান আঁখি নয়ননীরে।
যাক ফেটে শূন্য প্রাণ, হোক আশা অবসান—
হৃদয় যাহারে ডাকে থাক্ সে দূরে।
প্রস্থান
মায়াকুমারীগণ। মধুরাতি পূর্ণিমার ফিরে আসে বার বার,
সে জন ফেরে না আর যে গেছে চলে।