পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

try গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনােদ বল কৃষ্ণ, ভজ কৃষ্ণ, কর কৃষ্ণশিক্ষণ ॥ অপরাধশ্বন্ত হ’য়ে লহ কৃষ্ণ-নাম। কৃষ্ণ মাতা, কৃষ্ণ পিতা, কৃষ্ণ ধন-প্ৰাণ ॥ কৃষ্ণের সংসার করা ছাড়ি’ অনাচার। জীবে দয়া, কৃষ্ণ-নাম সৰ্ব্বধৰ্ম্মসার ৷” ‘হাটী’, ‘মহাজন’, ‘দালাল’, ‘দস্তুরি”, “দণ্ডীদার’, ‘জমাদার’, , 'বিপণিপতি’, ‘মাতা’, ‘পিতা’, ‘ধন’, ‘প্ৰাণী’, ‘সংসার’-এই সকল শব্দ সাধারণ লোকে ধরিতে পারে। এইজন্য পরম কৃপালু ঠাকুর ভক্তিবিনোদ তাহার নামহট্টে সে-সকল শব্দের মধ্য দিয়া ভক্তিসিদ্ধান্ত ও ভজন-রহস্য-সমূহ শিক্ষা দিয়াছেন। ঠাকুরের ভাষায় এই নামহট্টের বিবরণ পাঠকগণের নিকট উপস্থাপিত করিতেছি। ইহাতে তাহার নামহট্টের আদর্শ ও শিক্ষার উদ্দেশ্য পাঠকগণ পাইতে পরিবেন। ১ । “শ্ৰীমহাপ্ৰভু কলিজীবের প্রতি কৃপা করিয়া শ্ৰীনিত্যানন্দ প্রভুকে ঘরে ঘরে নাম প্রচার করিতে আজ্ঞা দেন ; অতএব শ্ৰীনিত্যানন্দ প্ৰভুই গোক্ৰমস্থ নামহাটের মূল মহাজন। নামহট্টের সমস্ত কৰ্ম্মচারীই আজ্ঞা-টহলের অধিকারী হইলেও টহলদার পদাতিক মহাশয়গণই এই কাৰ্য্য বিশেষরূপে নিঃস্বাৰ্থভাবে করিয়া থাকেন। প্ৰভু নিত্যানন্দ ও পদাতিক হরিদাস ঠাকুর সর্বাগ্রে নিজে নিজে ঐ কাৰ্য্য করিয়া উক্ত পদের মাহাত্ম্য দেখাইয়াছেন । পয়সা ও চাউল ইত্যাদির আশায় যে টহল’ দেওয়া যায়, তাহা শুদ্ধ আজ্ঞা-টহল নয়। Digitized at BRCindia.com