পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՃՀ গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ সাগরে পতিত চিদ্বর্গের কল্যাণ-বিস্তার-বরণাভিপ্ৰায়ে সর্বাদেী বেদস্বরূপে আবিভূতি হইয়াছিলেন। পরে সেই নিখিল শ্রুতির তাৎপৰ্য্য বিজ্ঞাপনাৰ্থ নারায়ণ-নারদ-কপিল-ব্যাসাদি ঋষিরূপে অবতীর্ণ হইয়া নিখিল স্মৃতিশাস্ত্র প্রচার করেন । পুনশ্চ স্বীয় অচিন্ত্য-লীলা-প্রচারকরণাভিপ্ৰায়ে তিনি নৃহরি-বামন- রাম-কৃষ্ণস্বরূপে ভূমণ্ডলে আবিৰ্ভত হন। কিন্তু ক্ৰমশঃ দুস্তর কলিকালরূপমেঘাচ্ছন্ন হইলে জীবের চিত্তাকাশ অত্যন্ত কলুষিত হইল। তখন পরাৎপর পরমেশ্বর শ্ৰীনবদ্বীপ-ধামে শ্ৰীচৈতন্যচন্দ্ররূপে উদয় হইয়৷ জীবনিচয়ের নিত্যকল্যাণ-সাধনাৰ্থ সর্ববেদসার স্বীয় নামামৃত বর্ষণ করত। কলিপীড়িত জীবের সমস্ত অবিদ্যা-ক্লেশ দূর করিলেন। সেই সচ্চিদানন্দ শচীতনয় স্বীয় শ্ৰীমুখ-গলিত পরম পীযুষ-স্বরূপ শিক্ষাষ্টক জগজীবকে বিতরণ করেন। সেই শিক্ষাষ্টক অদ্য আমরা গান করিয়া পরম আনন্দ লাভ করি।” বৈষ্ণব-সিদ্ধান্ত-মালার পঞ্চম গুটীতে “নাম-মহিমা” শীর্ষক নিবন্ধে ঠাকুর ভক্তিবিনোদ শ্ৰীৰূপের নামাষ্টকের গীতানুবাদ ও গদ্যানুবাদ প্ৰকাশ করিয়াছেন। ঐসকল গানের প্রত্যেকটিতে রাগিণী ও তালের সংযোগ দেখিতে পাওয়া যায়। সেই পঞ্চম গুটীতেই নিম্নলিখিত দালালের গীতটি প্রচারিত হইয়াছিল । নিত্যানন্দ কীৰ্ত্তনাখ্য' গোক্ৰমািদ্বীপের সুরভিকুঞ্জে যে নামের হাট খুলিয়াছেন, তাহাই দালাল অর্থাৎ প্রচারক শ্রদ্ধাবান জনসাধারণের নিকট । ঘোষণা করিতেছেন। জীবকে হরিভজন করাইলে নিত্যানন্দের যে কৃপা লাভ হয়, তাহাই দালালের “দস্তুরি” । ཟ། Digitized at BRCindia.com