পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GS byr গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ ঠাকুর ভক্তিবিনোদ গীতাবলীর দ্বিতীয় গানে সেই শ্রুতির “উত্তিষ্ঠত জাগ্ৰত প্রাপ্য বরান নিবোধত” মন্ত্রের সুমধুর পুনরাবৃত্তি করিয়া যেন মায়া-পিশাচীর কোলে অনাদিকাল যাবৎ মোহনিদ্রাগ্ৰস্ত ও স্বরূপ-বিভ্ৰান্ত-জীবকে চেতন করিবার জন্য বলিতেছেন “জীব জাগ জীব জাগ গোরাচাদ বলে । I কত নিদ্রা যাও মায়া-পিশাচীর কোলে | ভজিব বলিয়া এসে সংসার-ভিতরে । ভুলিয়া রহিলে তুমি অবিদ্যার ভরে ॥” ঠাকুর ভক্তিবিনোদ তাহার গীতাবলীতে শ্ৰীগৌরগোবিন্দ, শ্ৰীগৌরসুন্দর ও শ্ৰী রাধাকৃষ্ণের ত্রিসন্ধ্যারাত্রিক ও ভোগারাত্রিক প্রভৃতি বণৰ্না করিয়াছেন। আরতি—আর্চনের একটী বিশিষ্ট অঙ্গ। কীৰ্ত্তনমুখে সেই অঙ্গের অনুশীলন হইলেই তাহ সুষ্ঠু হয়। এইজন্য পূর্ব মহাজন ও পদকর্তৃগণ এই সকল আরতি-কীৰ্ত্তন রচনা করিয়াছেন। কিন্তু প্ৰাকৃত-সহজিয়া-সম্প্রদায়ে বা বিভিন্ন মন্দিরাদিতে যে-সকল আরতি-কীৰ্ত্তন “মহাজনের পদ’ বলিয়া প্ৰচারিত রহিয়াছে তাহাতে ক-এক শতাব্দীর নানাপ্রকার ভক্তিসিদ্ধান্ত-বিরুদ্ধ চিন্তা স্রোতের আবিজানার নৃত্যুনাধিক সংমিশ্রণ ও সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়। প্রাচীন মহাজনের ভনিতা বা পুস্পিকার দোহাই দিয়া অনেক সম্ভোগবাদীর ভক্তিসিদ্ধান্ত-বিরুদ্ধ ও রসাভাস-দুষ্ট চিন্তাস্ত্ৰোতঃ কীৰ্ত্তনাদির মধ্যে প্রবেশ লাভ করিয়াছে। এজন্য প্রাচীন পদাবলী সাহিত্যের মধ্য হইতে সাধারণ লোক প্রকৃত মহাজনের পদ চয়ন Digitized at BRCIndia.com