পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১৫০

S (ሮኃJኃ গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ প্রণেতা শ্ৰীচৈতন্য-পূৰ্ব গৌড়ীয়-সাহিত্যিকগণ অথবা শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর সমসাময়িক ও পরবর্তী যুগের বহু পদাবলী বা গীতাবলী-সাহিত্যরচয়িত্বগণের গীতি-সাহিত্যসমূহে লীলাকথাই বিশেষভাবে বর্ণিত হওয়ায় কাম-ক্ৰোধাসক্ত, অত্যন্ত দেহ-গোহাসিক্ত অনৰ্থযুক্ত জীব কেবল কাব্য-সৌন্দর্ঘ্যে মুগ্ধ হইয়া কিংবা অনর্থগ্রস্তাবস্থায় ও অপক্কাবস্থায় মুক্তকুলের অনুশীলনীয় ব্যাপার-সমূহ আলোচনা করিতে গিয়া অত্যন্ত অনর্থ ও অপরাধগ্ৰস্ত হইয়া পড়িয়াছিল। ঠাকুর নরোত্তমের " " প্রার্থনা’ ও ‘প্রেমভক্তিচন্দ্রিকা’র কতিপয় গীতিতে অনৰ্থব্লোগ-বিনাশের অনেক উপদেশ থাকিলেও ঠাকুর ভক্তিবিনোদের <গীতি-সাহিত্যে সম্বন্ধ জ্ঞানের কথা অতি বিশদভাবে ও নানাপ্রকার বিশ্লেষণ, বিচার ও যুক্তির সহিত বিবৃত হইয়াছে। সমসাময়িক প্রাকৃত-সহজিয়া-সমাজের দুরবস্থা ; বহু প্ৰকার অন্যাভিলাষী, কৰ্ম্মী, জ্ঞানী, যোগী, তপস্বী প্রভৃতির কৃষ্ণ-বিমুখত-বৈচিত্ৰ্য ; ক্লাব-নিগুৰ্ণ-সগুণ-সংশয়বাদীর, পাশ্চাত্ত্য-শিক্ষার নবীন বিলাসতরঙ্গে ও বহুরূপী বহির্মুখ-চিত্তবৃত্তিতে পরিপ্লাবিত জীব-জগতের পতনাবস্থা দেখিয়া ঠাকুর ভক্তিবিনোদ তাহার গীতি-সাহিত্যের মধ্যে প্রচুর সম্বন্ধ-জ্ঞানের কথা অন্বয় ও ব্যতিরেকভাবে যেরূপ সর্বতোমুখী বিশ্লেষণ-যুক্তির সহিত বিবৃত করিয়াছেন, তাহার তুলনা নাই। কাজেই র্যাহারা গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-গীতি-সাহিত্যের বাস্তব-অনুশীলন করিতে গিয়া কেবল ঠাকুর নরোত্তমের ‘প্রার্থনা’, ‘প্রেমভক্তিচন্দ্ৰিক’ পৰ্য্যন্ত অধ্যয়ন সমাপ্ত করিবেন কিংবা ঠাকুর ভক্তিবিনোদের গীতি-সাহিত্য-সমূহ অনুশীলন না করিয়াও শুদ্ধ Digitized at BRCIndia.com སྐ