পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - পূর্ব-পদকর্তৃগণ ও শ্ৰীভক্তিবিনোদ Տ ԱՆՏ রূপ কীৰ্ত্তন-গানের বীজ পত্তন হয়। কিন্তু সে-সময় গানের এরূপ পারিপাট্য হয় নাই। শ্ৰীশ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য প্রভূর সময়ে গানের পারিপাট্য হয়। শ্ৰীবৃন্দাবনে শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য, শ্ৰীনরোত্তম দাস ও শ্ৰীশ্যামানন্দ-এই তিন মহাত্মা কিছুদিন শ্ৰীজীব গোস্বামীর শিক্ষা-শিষ্যরূপে অবস্থিতি করেন। শ্ৰীজীবগোস্বামীর অনুমোদনে ইহারা কীৰ্ত্তন-পদ্ধতির ব্যবস্থা করিলেন। তিন জনেই সঙ্গীত-- শাস্ত্ৰে মহামহোপাধ্যায় ছিলেন । দিল্লীর কালোয়াতি-বিদ্যায় তিন জনেই পারদর্শী। তিন জনেই পরস্পর এক প্ৰাণ, একাশক ও হৃদয়-বন্ধু। কিন্তু উক্ত তিন মহাত্মা ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের লৈম্বি শ্ৰীশ্ৰীনিবাস-আচাৰ্য্য কাটােয়া-প্রদেশ উজ্জল করিয়াছিলেন তাহার প্ৰদেশটা মনোহর সাহী পরগণার অন্তৰ্গত। এতন্নিবন্ধন তাহার প্ৰবৰ্ত্তিত গান-পদ্ধতির নাম—“মনোহর সাহী-গান” । শ্ৰীনরোত্তম দাস রাজসাহী জেলার গরাণ-হাটী বা গড়ের হাট পরগণার অন্তৰ্গত খেতুরী গ্রামের অধিবাসী। এতন্নিবন্ধন তাহার প্রবৰ্ত্তিত গানপদ্ধতির নাম— গরাণহাটী গান’। শ্ৰীশ্যামানন্দ মেদিনীপুর জেলার লোক। তাহার প্রবৰ্ত্তিত গীত-পদ্ধতিকে ‘রেণেটি গান’ বলা যায়। শ্ৰীজীব গোস্বামী শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্যকে প্রভু’-পদ, শ্ৰীনরোত্তম দাসকে “ঠাকুর’-পদ ও শ্ৰীশ্যামানন্দকে ‘প্রভু’-পদ দিয়াছিলেন। শ্ৰীজীব গোস্বামীর অনুমোদনে উৎসাহিত হইয়া গীতাচাৰ্য্যত্রয় আপন আপন প্রদেশে গমন করিলেন। ঐ তিন মহাত্মা গৌড়ভূমির অলঙ্কার । তাহারা গোস্বামীদিগের ন্যায় “সংস্কৃতৃ-বিদ্যায় অধিক পণ্ডিত ছিলেন,-এরূপ বোধ হয় না ; কেন না, তাহাদের Digitized at BRCIndia.com