পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSS গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ .巒 ও অপরাধ। “আপন ভজন-কথা, না কহিবে যথা তথা৷”— এই আচাৰ্য্য-বাক্য বিশ্বাস করিলে আর্থ-ব্যবসায়ী গায়কদিগের মুখে রসগান শ্রবণ করা অপরাধ হইয়া উঠে। বিগত গানোৎসবে বীরভূমস্থ কোন মহাত্মা বৈষ্ণব শ্ৰীকুলিয়া-নবদ্বীপে গান শুনিতে গিয়াছিলেন। তথায় সর্বপ্রকার অধিকারীর নিকট সম্ভোগরসের গান হইতেছিল। তাছাবণে তিনি ভীত হইয়া চলিয়া, 醬 গেলেন। গায়ক ও শ্রোতাদিগের এইরূপ অপরাধ-ক্রিয়া । = –১৯আজকাল নিরঙ্কুশ হইয়া পড়িয়াছে । জগতে অধিকাংশ মনুষ্য سمېر” শীর্ঘস্কৃত। তাহারা রং ভালবাসে, প্রকৃত ভজনের নাম লইয়া যথেচ্ছাচার করিয়া থাকে। যে-পৰ্যন্ত এই কুপস্থা স্থগিত না হইবে, সে-পৰ্য্যন্ত শৃঙ্গার-রাসের গাম্ভীৰ্য্য থাকিবে না। হে ভক্তবৃন্দ ! স্বার্থপর গায়ক ও জড়ানন্দপর শ্রোতাদিগের সভায় আপনারা রস| গান শ্রবণ করবেন না। শ্ৰাদ্ধ-সভা ত’ দূরে যাউক, বৈষ্ণবদিগের আখড়ায় এ পদ্ধতি যাঁহাতে না থাকে, তাহার যত্ন করুন। সৰ্ব্ব- । প্রকার অধিকারী যেখানে উপস্থিত, সেখানে নাম ও প্রার্থনা - এবং দাস্য রসের গান হওয়া উচিত। যেখানে অমিশ্র শুদ্ধ রসিক বৈষ্ণব-মাত্ৰ উপস্থিত, সেখানে রস-গান শ্রবণ করুন এবং রসগানশ্ৰবণ-সময়ে নিজ-সিদ্ধ-স্বরূপোচিত ভজন-ভাব অনুভব করুন। ইহাতে গান-পদ্ধতি যদি উঠিয়া যায়, যাউক ; তাহাতেও বৈষ্ণব= ്. দিগের মঙ্গল হইবে। অর্থলোভে ও ইন্দ্ৰিয়-সুখের প্রত্যাশায় যেখানে-সেখানে রস-গানের প্রথা থাকিতে দেওয়া নিতান্ত কলির কার্য্য।” ---(সজ্জনতোষিণী ৬ষ্ঠবর্ষ, ২য় সংখ্যা) ༣ Digitized at BRCindia.com ി