পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Mჟ গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ আমরা ভগবানকে তাহার নামের দ্বারা যে আহবান করি, K সেই প্রার্থনা-সূচক নাম শরণাগত ব্যক্তির নিকটেই ফলদায়ক f হয়। শরণাগতি ব্যতীত ভগবান কাহারও আহবানে সাড়া দেন না । অনেক সময় আমরা ভগবানের নিকট প্রার্থনা করিয়া মনে করি, ভগবানকে অনেক ডাকিয়াছি, কিন্তু তিনি আমাদের ডাক শুনিতেছেন না ! আমরা কতটা শরণাগত হইতে পারিয়াছি, --- তাহা একটুও তলাইয়া দেখি না। ঠাকুর ভক্তিবিনোদ শ্ৰীশ্নরূপসনাতনকে “শরণাগতিক্তর শিক্ষক” বিচার করিয়া তাহদের নিকট শরণাগতি যাজ্ঞা করিয়াছেন— “রূপ-সনাতন-পদে দন্তে তৃণ করি । ভকতিবিনোদ পড়ে দুই পদ ধরি ॥ কঁাদিয়া কঁাদিয়া বলে আমি ত’ অধম । শিখায়ে শরণাগতি করা হে উত্তম ॥” শরণাগত ব্যক্তি শ্ৰীৰূপ-সনাতনের রূপায় “ভাল আমি' হন, ‘বড় আমি’ হইতে চাহেন না। এইজন্যই ঠাকুর ভক্তিবিনোদ- ২ s “কাদিয়া কঁাদিয়া বলে আমি ত অধম । শিখায়ে শরণাগতি করাহ উত্তম ৷” শ্ৰীক্লপানুগা-গণ “ভাল আমি’ হইবার বিচারে, প্রতিষ্ঠিত। তাহারা “সর্বোত্তম’ হইয়াও “বড় আমি’ হইতে চাহেন না। ঠাকুর ভক্তিবিনোদ কায়িক, বাচিক ও মানসিক-ভেদে শরণাগতির ছয় প্রকার বিভাগ করিয়াছেন। ছয় প্রকার শরণাগতিই Digitized at BRCindia.com