পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.শরণাগতি A ܬܐ বাচনিক ও মানস-ভেদে তিন তিন প্রকার । শ্ৰীজীব چtfaچه در سر ■ 11 ܕ * ܢܐ ' গোস্বামি-প্ৰভু শরণাগতি সম্বন্ধে এইরূপ বলিয়াছেন,- যড়বৰ্গান্তরিকৃতসংসারভয়াবাধ্যমান এবং হি শরণং প্ৰবি শত্যনন্য“ چاہیے গতিঃ । ভক্তিমাত্ৰকামোহপি তৎকৃতভগবদ্বৈমুখ্যবাধ্যমান: । অনন্যগতিত্বঞ্চ দ্বিধা দর্শন্তে । আশ্রয়ান্তরস্তাভাবকথনেন নাতিপ্ৰতিজ্ঞয়া। কদাচিদাশ্রিতম্ভ, আপ্যান্যস্য ত্যজনেন চা।” (ভক্তিসন্দৰ্ভ, ২৩৬ অ্যাং) কাম, ক্ৰোধ, লোভ, মোহ প্রভৃতি ছয় রিপু-কৃত সংসার-ভয় পৰ্য্যালোচন-পূর্বক ভাগ্যবান জীব অনন্যগতি হইয়া শ্ৰীকৃষ্ণচরণে শরণাপন্ন হন। র্যাহার কেবল শুদ্ধভক্তিমাত্ৰই কামনা, তিনিও তন্দ্বারা ভগবদ্বৈমুখ্য আশঙ্কা করতঃ আপনাকে অনন্যগতি মনে করেন। অনন্যগতিত্ব দুই প্ৰকার-এক প্রকার অনন্যগতি এই যে, আশ্রয়ান্তর না পাইয়া এইরূপ বলেন—“হে কৃষ্ণ ! আমি ংসার-সুখ, কৰ্ম্ম ও তৎফলরূপ ভোগ এবং জ্ঞান ও তৎফলরূপ মুক্তি উত্তমরূপে পৰ্য্যালোচনা করিয়া দেখিলাম, চিৎস্বরূপ আত্মা যে আমি, আমার আর তোমার অভয় পদ ব্যতীত কোন প্ৰকৃত আশ্রয় নাই। আমি তোমার শরণাপন্ন হইলাম।” দ্বিতীয় প্রকার অনন্যগতিত্ব এইরূপ-“হে কৃষ্ণ ! আমি কৰ্ম্মকাণ্ডকে আশ্রয় মনে করিয়া তদেযাগ্য দেবতা আশ্রয় করতঃ কত কোটি কোটি জন্মে বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম, যজ্ঞ ও ব্ৰতাদি করিয়া দেখিলাম, তাহাতে কোনপ্রকার নিত্যানন্দ নাই। পুনরায় জ্ঞানকে আশ্রয় করিয়া নির্বিশেষ ব্ৰহ্ম পদাশ্রয় করতঃ মুক্তির আস্বাদন দ্বারা দেখিলাম—তাহাতেও চিদানন্দ নাই। এই সমস্ত অবস্থার পর, হে নাথ ! আমি সেই V Digitized at BRCindia.com