পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Er গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ ””محصبر সেই আশ্রয়-পরিত্যাগ-পূর্বক এখন তোমার অমৃতপশ্চরণকমলের ২২, আশ্রয় গ্ৰহণ করিলাম।” অনন্য কৃষ্ণভক্তিতে যখন জীবের শ্রদ্ধা হয়, তখন জীব এই সঙ্কল্প করেন যে, আমি কৃষ্ণভক্তির অনুকুল সমস্ত বিষয় স্বীকার করিব। অনুকূল বিষয় স্বীকার না করিলে ভূক্তি অনুশীলন কিরূপ্লে হইতে পারে ? সংসারে আবদ্ধ হইয়া বিষয়-ধানে জীবন কাটাইতেছি । সেই সকল বিষয়-ধ্যান আমাকে বিষয়ে পুন: পুনঃ গাঢ় রূপে আবদ্ধ করিতেছে। অতএব কৃষ্ণভক্তির অনুকূল যাহা হয়, তাহাই মাত্ৰ অঙ্গীকার করিলে ভক্তির অনুশীলন হইবে এবং ক্রমশঃ বিষয়-বন্ধন ক্ষয় হইয়া পড়িবে। শ্ৰীজীব গোস্বামিপ্ৰদৰ্শিত প্ৰথা-অনুসারে কায়িক, বাচিক ও মানসিক ভেদে ত্ৰিবিধ আনুকূল্যের পৃথক আলোচনা করিতেছি। পঞ্চবিধ যথা— ১। রসনাগত, ২ । কর্ণগত, ৩ । চক্ষুগত, ৪। হস্ত-পদাদি-শরীরগীত, ৫ । ভ্ৰাণগত । রসনাকে ভক্তির অনুকুল করিতে হইলে শ্ৰীকৃষ্ণ-প্ৰসাদ ও ভক্ত-প্ৰসাদ-সেবন-ব্ৰতই একমাত্ৰ উপায়। প্ৰসাদ সেবার সময় ভোগসুখ মনে হয় না, কেবল জীবননাথ শ্ৰীকৃষ্ণের ভোজন-সুখই মনে পড়ে। প্রসাদ-সেবার সময় স্বীয় ভোগসুখ মনে করিলে আর আনুকূল্য ভাব থাকে না। চক্ষুকে ভক্তির অনুকুল করিতে হইলে শ্ৰীমূৰ্ত্তি-দর্শন, বৈষ্ণব দর্শন, ভগবল্লীলা স্থানের বিবিধ শোভা-দর্শন এবং লীলা-প্রতিকৃতি ইত্যাদি দৰ্শন-ব্ৰতই একমাত্ৰ উপায়। যাহা কিছু চক্ষুর বিষয়ীভূত হয়, তাহাতে ভগবৎসম্বন্ধ দর্শন করাই মূল প্রয়োজন । Digitized at BRCindia.com