পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ জীবের আত্মনিবেদনই শরণাগতির পঞ্চমাঙ্গ । “আমি { কেহই নাই, আমি যত কিছু ‘আমার’ বলিয়া বলি, সমস্ত কৃষ্ণের ; আমি রুষ্ণের সংসারে দাস মাত্র ; কৃষ্ণের ইচ্ছাই প্রবল ; আমার স্বতন্ত্র ইচ্ছা নিরর্থক ; কৃষ্ণেচ্ছার অনুগত থাকাই আমার স্বভাব ; মূর্থিতা বশতঃ এ, পৰ্য্যন্ত যে-সকল বস্তু ও ব্যক্তিতে “আমি” ও “আমার’ বলিয়া বুদ্ধি ছিল, তাহা আমি শ্ৰীকৃষ্ণে অৰ্পণ করিলাম ; আজ হইতে আমি-আমার নই, কৃষ্ণের”—এই বুদ্ধির নাম আত্ম-নিক্ষেপ। কাৰ্পণ্য বা দৈন্যই শরণা গতির ষষ্ঠ অঙ্গ। “আমি চিন্ময় জীব নিজ-কৰ্ম্ম-দোষে সংসারে নানা ক্লেশ ভোগ করিতেছি ; আমি দণ্ডের উপযুক্ত পাত্ৰ, কৃপাময় কৃষ্ণের নিত্যদাস হইয়া তাহার চরণাশ্রয়ের বিস্মৃতি-বশতঃই আমার কৰ্ম্মচক্ৰে প্ৰবেশ ও এত ক্লেশ ; আমার ন্যায় হতভাগ্য। আর কে আছে ? আমি সকল অপেক্ষা হীন, দীন ও অকিঞ্চন ।” এবস্তৃত যড়ঙ্গ শরণাগতির দ্বারা র্যাহার চিত্ত নিৰ্ম্মল ও চরিত্র পবিত্র হয়, তিনি শুদ্ধভক্তির একমাত্র অধিকারী ! ঠাকুর ভক্তিবিনোদ তাহার শরণাগতি’ গীতিতে শ্ৰীৰূপসনাতনের নিকট শরণাগতির প্রার্থনা করিয়া শরণাগতির অধিকারীর কিরূপ দৈন্য ও নিৰ্বেদ উপস্থিত হইবে, তাহা “সংসারে আসিয়া” প্রভৃতি গীতিতে কীৰ্ত্তন করিয়াঁছেন। শরণাগতির পঞ্চম গীতিতে অননুকরণীয় ভাষায় সাংসারিক জীবের অবস্থা বর্ণনা করিয়াছেন

Digitized at BRCIndia.com

. ܪ`