পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԿ) গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ শরণাগতিতে শ্ৰীৰূপানুগ-ভজন-লালসায় ঠাকুর শ্ৰীভক্তিবিনোদ শ্ৰীৰূপের উপদেশামৃতের ভক্তি-প্রতিকূল ছয়টি বেগ, ছয়টি ভক্তির কণ্টক, ভক্তির অনুকূল ছয়টি বৃত্তি, ভক্তিপোষক ছয়প্রকার সঙ্গ, মধ্যম। ভক্তের কনিষ্ঠ, মধ্যম ও উত্তম বৈষ্ণবকে যথাক্রমে আদর, প্ৰণতি ও শুশ্রুষার দ্বারা সেবা, প্ৰকৃত শুদ্ধ বৈষ্ণবকে প্ৰাকৃত. বিচারে দর্শন নিষেধ; বৈষ্ণব ঠাকুরের নিকট বাক্যবেগ, মনোবেগ, ক্ৰোধবেগ, জিহবাবেগ, উদারবেগ, উপস্থবেগ ; অত্যাহার, জড়বিষয়ে প্রয়াস, গ্ৰাম্যকথা, অসৎ নিয়মাগ্রহ, অসৎ জনসঙ্গ, অস্থির সিদ্ধান্তরূপ দোষ দমন ও শোধন করিয়া ভজনে উৎসাহ, ভক্তিতে দৃঢ়বিশ্বাস, প্রেমলাভে ধৈৰ্য্য, ভক্তির অনুকূল কৰ্ম্ম-প্রবৃত্তি, অসৎসঙ্গ ত্যাগ ও ভক্তিসদাচাররূপ ছয় গুণ তথা শুদ্ধভক্তের সহিত দান, প্ৰতিগ্রহ, ভজন-কথা শ্রবণ ও আলাপন, মহাপ্ৰসাদ সেবন ও মহাপ্ৰসাদ দানরূপ ছয় সৎসঙ্গ প্ৰাথনা শিক্ষা দিয়াছেন । বৈষ্ণবের কৃপা ব্যতীত দুর্বল জীব কখনও হরিনাম-সঙ্কীৰ্ত্তনে বল প্ৰাপ্ত হইতে পারে না। কৃষ্ণ-বৈষ্ণবেরই একচেটিয়া সম্পত্তি। সুতরাং একমাত্ৰ বৈষ্ণবই কৃষ্ণকে দান করিতে পারেন। শরণাগত ও বৈষ্ণব-সেবার কাঙ্গাল হইয়া “কৃষ্ণ কৃষ্ণ” বলিয়া বৈষ্ণবের অনুগমন করিলেই শরণাগতিতে সিদ্ধি হয়। সেই কৃষ্ণনামের উচ্চারণ আবিদ্যা-পীড়িত জিহবার নিকট প্রথম-মুখে তিক্ত বোধ হয়। তথাপি সিতপল (মিছরি) যেরূপ চোষন করিতে করিতে জিহবার পিত্তজনিত তিক্ত স্বাদ বিনাশ করে এবং মধুর রসের আস্বাদন করায়, তদ্রুপ গুরুবৈষ্ণবের আনুগত্যে প্রতিদিন আদর করিয়া নামকীৰ্ত্তন করিতে থাকিলে নামে রুচি উদ্বদ্ধ হয়। Digitized at BRCindia.com "