পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্যাণকল্পতরু V"){ “নিখিল বৈষ্ণব-জন। দয়া প্ৰকাশিয়া । শ্ৰীজাহ্নবী-পদে মোরে রাখহ টানিয়া ॥” শ্ৰীঅনঙ্গমঞ্জরীস্বরূপিণী জাহ্নবা দেবীর আশ্রয় প্রার্থনা ঠাকুর ভক্তিবিনোদের বিচারে দেখিতে পাওয়া যায়। কল্যাণকল্পতরুতে ঠাকুর ভক্তিবিনোদ বৈষ্ণবের অধিকার বিচার করিয়া বৈষ্ণব-সেবার কথা বলিয়াছেন। বৈষ্ণব-অবৈষ্ণব চিনিতে না পারার ন্যায় দুর্ভাগ্য আর নাই— “আমি ত’ দুৰ্ভাগা আতি, বৈষ্ণব না চিনি। মোরে কৃপা করিবেন। বৈষ্ণব। আপনি ॥ শ্ৰীগুরু-চরণে মোরে ভক্তি কর দান। যে চরণ-বলে পাই তত্ত্বের সন্ধান ॥” এইরূপ নিষ্কপট আত্তি, দৈন্য, কার্পণ্য, আত্মনিবেদন ও একান্ত শরণাগতি থাকিলে বৈষ্ণব-ঠাকুর কৃপা করিয়া বৈষ্ণব ও অবৈষ্ণব চিনাইয়া দেন। তখন বৈষ্ণব-ঠাকুরের রূপায় গুরুপাদপদ্মে অহৈতুকী ভক্তি, বৈষ্ণবের অধিকার-উপলব্ধি ও ভগবৎপাদপদ্মের সন্ধান व्लॉड श्व | কল্যাণকল্পতরুর স্কন্ধত্রয়ের সর্বপ্রথম স্কন্ধ ‘উপদেশে’র প্রারম্ভে শ্ৰীল ভক্তিবিনােদ ঠাকুর দীক্ষাগুরু ও শিক্ষাগুরুর বৈশিষ্টা কীৰ্ত্তন করিয়াছেন— । “দীক্ষাগুরু কৃপা করি।” মন্ত্র-উপদেশ । করিয়া দেখান কৃষ্ণতত্ত্বের নির্দেশ ॥ Digitized at BRCIndia.com