পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্যাণকল্পতরু 8 Գ প্ৰকাশিত হইয়াছে। তথাপি কল্যাণের আভাস উদিত হইলে অনুতাপ-লক্ষণ-উপলব্ধি চিত্তে প্ৰকাশিত হইয়া থাকে। কিছুকাল গর্ভাবাসে, কিছুকাল খেলা-ধুলায়, কিছুকাল গ্রাম্য-ধৰ্ম্মে, কিছুকাল রোগ-শোকে কাটাইয়া জীবনের ব্যর্থতা-সাধন-জন্য “উপলব্ধি’ ও ‘নিৰ্বেদ’ উপস্থিত হইলে সুবুদ্ধিযুক্ত হইয়া মনুষ্য কল্যাণের অনুসন্ধান করে। “ভুলিয়া তোমারে সংসারে আসিয়া”, “বিদ্যার বিলাসে কাটাইনু কাল”; “যৌবনে যখন ধন-উপার্জনে” ( শরণাগতি—২, ৩, ৪ )—শরণাগতির এই সঙ্গীতসমূহ ‘‘কল্যাণকল্পতরুর ‘উপলব্ধি’র প্রথম সঙ্গীতের সহিত সমতাৎপৰ্য্যবিশিষ্ট । “উপলব্ধি’র দ্বিতীয় সঙ্গীতে সাধুজনের সঙ্গ পরিত্যাগ করিয়া বহিন্মুখ-জনসঙ্গের প্রভাবে লোকের চিত্তবৃত্তির অবস্থা বর্ণিত হইয়াছে। তথাকথিত সভ্যতা কেবল অন্যাভিলাষযুক্ত বহিৰ্ম্ম খ সঙ্গের ফলমাত্র “সুবৰ্ণ করিয়া ত্যাগ, তুচ্ছ লোষ্ট্র-অনুরাগ, দুৰ্ভাগার এই ত’ লক্ষণ । কৃষ্ণেতর সঙ্গ করি, সাধুজনে পরিহরি', মদ-গর্বে কাটা’নু জীবন ॥ ভক্তিমুদ্রা দর্শনে, হান্ত করিতাম মনে, ' বাতুলতা বলিয়া তাহায়। যে সভ্যতা শ্রেষ্ঠ গণি, হারাইনু চিন্তামণি, • শেষে তাহ রহিল কোথায় ॥’ Digitized at BRCindia.com