পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Str গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ উপলব্ধি’র তৃতীয় সঙ্গীতে সংকৰ্ম্ম-পিপাসা-মত্ত জীব স্বৰ্গসুখাদিলাভের আশায় উপবাস-ব্রত, নানা কায়ক্লেশ, নানা কৃচ্ছসাধ্য তপস্যা ও বর্ণাশ্রমে নানা দেবদেবীর পূজা, শাস্ত্ৰ-অধ্যয়ন-শ্রম স্বীকার করিয়া পরিণামে যাহা লাভ করেন, তাহাতে আত্মমঙ্গলের কিছুই সঞ্চিত হয় না। তদ্বারা উর্ণনাভের ন্যায় কৰ্ম্মজালে বিজড়িত ও ভস্মে ঘূতাহুতি প্রদত্ত হয় মাত্র। “উপলব্ধির চতুর্থ সঙ্গীতে নির্বিশেষজ্ঞান-মতের সর্বাপেক্ষা অপকাস্থিরতার উপলব্ধি— “আমি ব্ৰহ্ম একমাত্ৰ, এ জালায় দহে গাত্র, ইহার উপায় কিবা ভাই । বিকার যে ছিল ভাল, ঔষধ জঞ্জাল হ’ল, ঔষধ-ঔষধ কোথা পাই ৷” জীব ত্রিতাপ-জ্বালায় তপ্ত হইয়া “অহং ব্ৰহ্মাস্মি’ শ্রবণ-মনননিদিধ্যাসনকে ঔষধরূপে স্থির করেন। কিন্তু সেই ঔষধই তাহার পক্ষে বিষের ক্রিয়া করে। রোগ ও রোগী উভয়ের বিনাশক ঔষধ ঔষধ-পদ-বাচ্য নহে। নির্বিশেষ-ব্রিহ্মোপলব্ধিতে জীবের আত্মবিনাশ ঘটে। উপলব্ধি’র পঞ্চম সঙ্গীতে কৃত্রিমভাবে, ক্লেশ-নিবৃত্তি-চেষ্টার অকিঞ্চিৎকরতার উপলব্ধি বর্ণিত হইয়াছে। নিৰ্ব্বেদ-লক্ষণ-উপলব্ধির দ্বিতীয় সঙ্গীতে বিষয়-বাসন, জড় উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ভুক্তি-মুক্তি-স্পৃহার অকিঞ্চিৎকরত্ব, জড়দেহ ও তজ্জনিত Digitized at BRCindia.com