পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

H SS Mტbr- গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ শ্ৰীচরণে কিরূপভাবে নিজ-অযোগ্যতা নিষ্কপটে জ্ঞাপন করিতে হয়, তাহা শিক্ষা দিয়াছেন। হৃদয়ে স্বাভাবিক-ভাবে এইরূপ কাৰ্পণ্য বা দৈন্য উপস্থিত না হইলে জিহবায় কখনও শ্ৰী রাধাগোবিন্দের অপ্ৰাকৃত শব্দাবতার শ্ৰীনামের উদয় হয় না। ঠাকুর ভক্তিবিনোদ গাহিয়াছেন— “অধমে উত্তম মানি, মূঢ়, বিজ্ঞ, অভিমানী, দুষ্ট হঞা শিষ্ট-অভিমান । এই দোষে দোষী হঞা, গেল চিরদিন বঞা, না করিনু ভজন-বিধান ॥” ঠাকুর ভক্তিবিনোদ কার্পণ্য-পঞ্জিকার মধ্যে যে-সকল আৰ্ত্তিগীতি গাহিয়াছেন, তাহা একটুকু সেবোম্মুখ-চিত্তে শ্রবণ করিলে আতি পাষাণ-হৃদয়ও বিগলিত হয়। ঠাকুরের অমৃত-প্রবাহ-ভাস্যের (চৈঃ চিঃ ম ৪।১৯৭১) উক্তি-“মথুরা রাজ্যপ্ৰাপ্ত শ্ৰীকৃষ্ণের বিচ্ছেদে শ্ৰীমতী রাধিকার মহাপ্রেমের যে উচ্ছাস হইয়াছিল, সেই ভাবের অনুগত হইয়া যে কৃষ্ণ-ভজন করা যায়, তাহাই সর্বোত্তম। এই রসের ভক্ত আপনাকে অত্যন্ত দীন-জ্ঞানে দীন-দয়া দ্র-নাথকে এই ভাবে ডাকিবেন। জীবের পক্ষে কৃষ্ণের বিচ্ছেদগত-ভাবই স্বাভাবিক ভজন ।” কাৰ্পণ্য-পঞ্জিকায় ঠাকুর ভক্তিবিনোদের সেই চিত্তবৃত্তি পরিাপূর্ণভাবে প্ৰকাশিত হইয়াছে “প্রাচীনাশী, ফলপূৰ্ত্তি, তুহু পদাম্বুজ-স্ফীৰ্ত্তি, সেই দুহুজন-দরশন। 嗣