পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊՆ গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ তাহা “অপরাধ” বলিয়া গণ্য হইবে না। বস্তুতঃ গুৰ্ব্বপরাধিগণের জানা প্রয়োজন যে, ঠাকুর ভক্তিবিনোদ উক্ত গীতিতে গুরুরূপ। সখীর চরণে নিজ-স্বারসিকী স্থিতি প্রার্থনা করিয়াছেন, যথা “সখীর চরণে কবে করিব আকুতি। সখী কৃপা করি’ দিবে স্বারসিকী স্থিতি ৷ কবে বা এ দাসী, সংসিদ্ধি লভিবে, * রাধাকুণ্ডে বাস করি’ । রাধাকৃষ্ণসেবা সতত করিবে, পূৰ্ব্ব স্মৃতি পরিহরি ॥” পূৰ্ব্ব-স্মৃতি বা পূর্ব-ইতিহাস-সমস্তই বিশ্বত হইয়া স্বারসিকী স্থিতির জন্য একান্ত লৌল্য ও তজ্জন্য শ্ৰীগুরুদেবের কৃপা-প্রার্থনা এক কথা, আর “গুরুদেব আমাকে সিদ্ধ-প্ৰণালী দিয়াছেন, আমার নাম অমুক মঞ্জরী”-ইহা জানাইয়া জগতের নিকট হইতে তদবিনিময়ে প্ৰতিষ্ঠা-বিষ্ঠা আহরণ করা আর এক কথা । যে-ব্যক্তি সিদ্ধ-প্ৰণালী প্ৰাপ্ত হইয়া সত্য-সত্যই “গুরুপ্রেষ্ঠ” হইতে পারিয়াছেন, সেই ব্যক্তির বিষয়-পিপাসা, পুরুষাভিমান, মৎসরতা, গুরুদেবে জাতিবুদ্ধি, স্ত্রী-পুত্ৰাদির প্রতি ষোল আনা আসক্তি কখনও থাকিতে পারে না। কপটতা করিয়া নিজেকে ঠাকুর ভক্তিবিনোদের সমকক্ষ বলিয়া জগতে প্রচার করিতে গেলে সেই অপরাধের সীমা নাই। ঠাকুর শ্ৰীল ভক্তিবিনোদ শ্ৰীৰূপানুগবর Digitized at BRCindia.com