পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o গীতি-সাহিত্যে শ্ৰীভক্তিবিনোদ বেশ-ভূষা-রঙ্গ যত, ছাড়ি’ নামে হাওরে রত, নিতাই চাদের অনুগত, হও ছাড়ি’ সব দুৰ্ব্বাসনা | মুখে “হরেকৃষ্ণ’ বল, ছাড়রে ভাই কথার ছল, নাম বিনা ত’ সুসম্বল, চাদবাউল আর দেখে না ৷” সম্বন্ধতত্ত্বজ্ঞানের উপদেশ-প্ৰদান ঠাকুর ভক্তিবিনোদের নিত্যসিদ্ধ স্বভাব। কাজেই বাউল-সঙ্গীত রচনা করিতে গিয়াও তিনি সেই স্বভাব পরিত্যাগ করেন নাই। সেখানেও তিনি “দেহতত্ত্ব-জাড়ের তত্ত’ প্ৰভৃতি কথার মধ্যে শুদ্ধভক্তি-সিদ্ধান্ত প্রচার করিয়াছেন। বাউলগণ সচ্চিদানন্দ-বিগ্রহ কৃষ্ণের সম্ভোেগরসের অনুকরণ করিতে গিয়া স্থল-সুক্ষ্ম-দেহভজা বা মানুষভজা হইয়াছে। চণ্ডীদাসের নামে বিকৃত ও প্রচলিত ‘সবার উপরে মানুষ বড়’ পদের বিকৃতাৰ্থ করিয়া রিপুতাড়িত মনুষ্যগণ সকলের উপরে রিপুব্বিশীভূত স্বজাতিকে অর্থাৎ মনুষ্য-জাতিকে সর্বোচ্চ আসনে বসাইবার নজির পাইয়াছেন ! কিন্তু তাহারা ‘ভাল মানুষ’ হইবার পরিবর্তে ‘বড় মানুষ’ হইতে গিয়া মাংস-চৰ্ম্মে আসক্ত হইয়া পড়িতেছেন ‘সবার উপরে মানুষ বড়’ স্বীকার করিয়া লইলেও তাহাকে কোন কোন বিশেষজ্ঞ “গৃঢ়ঃ কপট মানুষ” শ্ৰীকৃষ্ণ বলিয়া অর্থ করেন। কিন্তু বহিৰ্ম্মখে সাহিত্যিক মানুষেরা তাহা উপলব্ধি করিতে পারেন। নাই। প্রাকৃত বাউলগণ সেই গৃঢ় কপট-মনুষ্যের অনুকরণ করিতে গিয়া রক্ত-মাংসে ও যোষিৎসঙ্গে প্ৰমত্ত হইয়া পড়িয়াছে। ইহাদের কপটতা জনসাধারণকে জানাইবার জন্য ঠাকুর ভক্তিবিনোদ এইসব বাউল-সঙ্গীত কীৰ্ত্তন করিয়াছিলেন Digitized at BRCIndia.com