পাতা:গীতসাহিত্যে শ্রীভক্তিবিনোদ.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীতিমালা নাই, শ্ৰীবিষ্ণুস্বামী, শ্ৰী রামানুজ, শ্ৰীমধ্ব, শ্ৰীনিম্বার্কান্দি আচাৰ্য্যবৃন্দ বহুশাস্ত্ৰ-গ্ৰন্থ ও ভাষ্যাদি রচনা করিয়া যে রহস্য-প্রচারের কথঞ্চিৎ উদ্দেশ করিয়াছিলেন, গৌর-জন ঠাকুর ভক্তিবিনোদ অতি সহজ ও> সরল ভাষায় জনসাধারণের মধ্যে সেই রহস্যের সারা বিতরণের জন্য নামহট্ট খুলিয়াছিলেন। শ্ৰীনিবাসাচাৰ্য্য, ঠাকুর নরোত্তম প্রভৃতি গৌড়ীয়-বৈষ্ণবাচাৰ্য্যগণ জনসাধারণের মধ্যে শুদ্ধবৈষ্ণবধৰ্ম্ম প্রচারের জন্য গীতাবলী-সাহিত্য রচনা করিয়াছিলেন এবং তাহাদের পরবত্তিকালে জনৈক পদকৰ্ত্তা ‘হাটপত্তন’ শীর্ষক পয়ার-সমূহ রচনা করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহাতে আধুনিক যুগের উপযোগী যুক্তিমূলে কুসিদ্ধান্ত-নিরাস, বিশেষতঃ বৈষ্ণবধৰ্ম্মের মুখোসে যে-সকল বিদ্ধ-মতবাদ, ভণ্ডামী ও অপরাধ রাজত্ব করিতেছিল, তাহা সম্বন্ধজ্ঞানের উপদেশের সহিত নিরাকৃত করিবার পরিচয় ততটা পরিব্যক্তি হয় নাই । ঠাকুর ভক্তিবিনোদ শ্ৰীনামহট্ট উন্মোচন করিয়া তাহার সমসাময়িক যুগের বৈষ্ণবধৰ্ম্মের গ্লানিসমূহকে যেমন একদিকে দূরীভূত করিয়াছেন, তেমনি অপরদিকে জনসাধারণকে শুদ্ধভক্তিধৰ্ম্মের প্রাথমিক মূল বিষয়গুলি অতি সহজ ও সরল ভাষায় শিক্ষা দিয়াছেন । ঠাকুর ভক্তিবিনােদের নামহট্টের স্বরূপ ও কাৰ্য্য এই-- “নদীয়া গোক্ৰমে নিত্যানন্দ মহাজন। পাতিয়াছে নামহট্ট জীবের কারণ ॥ ( শ্রদ্ধাবান জন হে, শ্রদ্ধাবান জন হে ) প্রভুর রূপায় ভাই মাগি এই ভিক্ষা। Digitized at BRCindia.com