পাতা:গীতা-গ্রন্থাবলী (উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়).djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* জীবন্মুক্তি গীত । অনাদিবর্হিভূতানাং জীবঃ শিবো ন হন্ততে । নিৰ্ব্বৈর: সৰ্ব্বভূতানাং জীবন্মুক্ত: স উচ্যতে ॥ ১১ ॥ আত্মা গুরুস্থং বিশ্বঞ্চ চিদাকাশে ন লিপাতে। গতাগতং দ্বয়োনাস্তি জীবন্মুক্ত: স উচ্যতে ॥ ১২ ৷ গর্ভধানেন পশ্যত্তি জ্ঞানিনাং মন উচ্যতে । সোহহং মনো বিলীয়স্তে জীবন্মুক্ত: স উচ্যতে ॥ ১৩ ॥ উৰ্দ্ধং ধ্যানেন পশুস্তি বিজ্ঞানং মন উচ্যতে। শূন্তং লয়ঞ্চ বিলবং জীবন্মুক্ত: স উচ্যতে। ১৪ : অভ্যাসে রমতে নিত্যং মনো ধ্যানলয়ং গতম্। ৰন্ধমোক্ষদ্বয়ং নাস্তি জীবন্মুক্ত: স উচ্যতে ॥ ১৫ ॥ অনাদিবৰ্ত্তী অর্থাৎ সমকালসঞ্জাত প্রাণীদিগের জীবাত্মাকে যিনি শিবস্বরূপ জানেন এবং প্রত্যেক জীবাত্মাকে শিবস্বরূপ জানিয়া কখনও কোন প্রাণীর প্রতি শক্ৰতা করেন না, বরং যাবতীয় জীবের পরম বান্ধব হুয়েন, তিনিই জীবন্মুক্ত বলিয়া অভিহিত হয়েন ॥ ১১। আত্মা চিৎ আকাশস্বরূপ হয়েন। ব্ৰহ্মাণ্ড এবং আত্মা উভয়ই আমার শুরু এবং উভয়ে পদ্মপত্রস্থিত জলের স্থায় পরস্পর নিলিপ্ত হয়েন। এই উভয়ের মধ্যে কোন প্রকার বিচ্ছিন্নতা নাই । কেন না, ইহারা পরস্পর নির্লিপ্ত হইলেও কোন কালেই যে ইহাদের স্বতন্ত্রতা ঘটিবে, এ প্রকার সম্ভাবনা নাই। যিনি ইহা জ্ঞাত আছেন, তিনিই জীবন্মুক্ত বলিয়া কথিত হয়েন ॥ ১২ ॥ মানসিক চিন্তাতে জ্ঞানীদিগের দেহমধ্যে যে আত্মদর্শন হয়, তাহাকেই মন কহে। সেই মনই জীবাত্মা নামে অভিহিত হয়। সেই বায়ুসদৃশ মন আকাশস্বরূপ পরমাত্মাতে লয়প্রাপ্ত হয়। আমিই সেই পরমাত্মা, যিনি এ প্রকার জানেন, তিনিই জীবন্মুক্ত বলিয়া অভিহিত হইতে পারেন। ১৩। যিনি ধান দ্বারা উর্বস্থিত আকাশের স্থায় পরমাত্মাকে ভাবনা করেন অর্থাৎ সমাধিতে যাহার উৰ্দ্ধদৃষ্টি হয়, সেই সাধকের মনকে বিজ্ঞান কহ। স্বায়; যাহার মন শূন্তস্বরূপ হইয়া লয় প্রাপ্ত হয়, সেই সাধকই জীবন্মুক্ত বলিয়া কথিত হয়েন ১৪ ॥ যিনি পূৰ্ব্বোল্লিখিত প্রকারে অভ্যাস করিয়া সৰ্ব্বদাই পরমাত্মাতেই ক্রীড়া করেন এবংখ্যান দ্বারা মনকে একেবারে লয়গত করিয়াছেন,সেই সাধকৰ্যক্তির আর বন্ধ-মোক্ষ থাকে না। তিনি একেবারে জীবন্মুক্ত হইয়া থাকেন। ১৫।