পাতা:গীতা-গ্রন্থাবলী (উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়).djvu/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Xoło উত্তর গীত । যে ৰেঙ্গাদে স্বরং প্রোক্তো বেদান্তে চ প্রতিষ্ঠিতঃ । অস্ত প্রকৃতিলীনস্ত যঃ পরঃ স মহেশ্বরঃ ॥ ১৭ ॥ নবর্থী হি ভবেৎ তাবৎ যাবৎ পায়ং ন গচ্ছতি । উত্তীর্ণে তু সরিৎপারে নাৰা বা কিং প্রয়োজন ॥ ১৮ ॥ গ্রন্থমভ্যস্ত মেধাবী জ্ঞানবিজ্ঞানতৎপরঃ । পলালমিৰ ধাক্ষার্থী ত্যঙ্গেৎ গ্রন্থমশেষতঃ ॥ ১৯ ॥ উষ্কাহস্তে যথা কশ্চিন্দ্ৰৰ্যমালোৰ্য তাং ভ্যজেৎ । জ্ঞানেন জ্ঞেয়মালোক্য জ্ঞানং পশ্চাৎ পরিত্যজেত্ব ॥ ২৪ ॥ ছেন অথবা র্যাহার এই জ্ঞান জন্মিয়।ছে যে, বেদান্তের তাৎপর্য্যস্বরূপ সচ্চিদানন্দময় পলমাত্মা হৃদয়পদ্মে অধিষ্ঠান করিতেছেন, সেই শুদ্ধ বিশুদ্ধ-স্বভাব ষোগিবরেব আর যোগধারণা প্রভৃতি কেfন কাৰ্য্যাঙ্গুষ্ঠানের প্রয়োজন নাই , কারণ, যদি কার্য্যফল সিদ্ধ হুইল, তাহ’ হইলে করঞ্জণর অfবখ্যক রাখে ন! ॥ ১৬ } বেদের প্রথমে, মধ্যে ও শেষে যে প্রণবাত্মক স্বর কথিত আছে, যিনি সেই প্রকৃতিমুক্ত প্রণব হইতে প্রধান, সেই জ্ঞানীই ঈশ্বররুপে ৰিবাজ করিয়া থাকেন ॥ ১৭ ॥ বাবৎ নদী পার হওয়া না যায়, তাবৎকালই মানব নৌকার প্রার্থ হইয়া থাকে, কিন্তু নদী সমুত্তীর্ণ হইলে অাব নৌকার আবশ্বক থাকে না, সেইরূপ যে পৰ্য্যস্ত আত্মতত্ত্বাপরোক্ষামুভব না হয়, তাবৎকাল পর্য্যস্তই যোগাভ্যাসে ও প্রাণায়ামাদিসাধনে যত্নবান হইবে, কিন্তু পরমাত্মা প্রত্যক্ষ হইলে আর সেই সকল যোগাদি-সাধনে আবশ্যক করে না । ১৮ ॥ ধান্সার্থী ব্যক্তি স্বেরূপ পলাল মর্দন করিয়া ধান্ত গ্রহণ করে এবং তৃণগুলি ফেলিয়া দেয়, সেইরূপ জ্ঞানী ব্যক্তি বহুবিধ শাস্ত্র পর্য্যালোচনা করিয়া আত্ম- “ জ্ঞানী হইলে পরে সেই সকল শাস্ত্র দূরে বিসর্জন করিয়া থাকেন। ১৯ ॥ তিমিরাবৃত নিশাতে কোন পদার্থ দৃষ্টিগোচর করিতে হইলে যেরূপ মানৰ উৰা গ্রহণ পূর্বক গমন করে এবং সেই জন্বেষ্টব্য বস্তু দৃষ্ট হইলে উৰা ফেলিয়া দেয়, সেইরূপ অবিস্তারূপ অন্ধকারাচ্ছন্ন সংসাররূপ নিশাভাগে পরমার্থদর্শনাভিলাষী ব্যক্তি জ্ঞানোর প্রভাবে পরমাত্মাকে দৃষ্টিগোচর করিম। অবশেষে যোগাদি জ্ঞান সকল বিসর্জন দিয়া ৰাৰেন ॥ ২৪ ৷ 廖