পাতা:গীতা-গ্রন্থাবলী (উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়).djvu/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তর গীতা । ఫిసిసి দ্বিসপ্ততিসহস্রাণি নাডাঃ সুবর্ণযুগোচরাঃ। কৰ্ম্মমাগেণ শুষিরা তিৰ্য্যঞ্চ শুষিরাত্মিকা ॥ ১৮ tl অধশ্চোদ্ধং গতাস্তাস্তু নবদ্বারাণি রোধয়ন। বায়ুনা সহ জীবোদ্ধজ্ঞানী মোক্ষমবাপুয়াং। ১৯। অমরাবতীন্দ্রলোকেইম্মিন্নাসাথে পূৰ্ব্বতে দিশি। অগ্নিলোকা হথ জ্ঞেয়শ্চক্ষুস্তেজোবতী পুরী ॥ ২• ॥ যাম্যং সংযমনী শ্রোত্রে যমলোকঃ প্রতিষ্ঠিতঃ । নৈঋতো হথ তৎপার্শ্বে নৈখতে লোক-আশ্রিত ॥ ২১ ॥ এই শরীবাভ্যন্তরে দ্বিসপ্ততি সহস্ৰ-সংপ্যক নাড়ী বিদ্যমান রহিয়াছে । বায়ুর সাহায্যে প্রতি নাউীতে যাতায়াত করা ঘাষ । যোগী ব্যক্তিরা বায়ুব সহায়তাবলে ঐ সকল ছিদ্রবিশিষ্ট নাড়ীর অভ্যস্থবে গমনাগমন করত তাহদের তত্ত্ব পবিজ্ঞাত হইয়া থাকেন । ১৮ ॥ যে সমস্ত নাভী সুষুম্না হইতে বহির্গত হইবা ইন্দ্ৰিয়রূপ নবদ্বার নিরোধ পূৰ্ব্বক উদ্ধ ও অধোভাগে প্রস্থত হইয়াছে, জীব বাযুব সহায়তায় উপরিস্থিত জ্ঞানেন্দ্রিয়কপ সেই সকল দ্বার অবগত হইলেক্ট মোক্ষ প্রাপ্ত হইয়া থাকেন। ১৯ । সুষুম্নাব পূৰ্ব্বে নাসার অগ্রদেশে অমরাবতী নামে ইন্দ্রলোক এবং নয়ন- . মধ্যে তেজোবতী নামে বহিলোক বিদ্যমান অর্থাৎ কতকগুলি ধমনী নেত্রের সমীপে গমন কবিয মণ্ডলাকারে দুই ভাগে বিভক্ত হওত নেত্রদ্বয়মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়াছে, তাহাদিগকে তেজোবতী বলে এবং নাসার নিকটস্থ যে ধমনী অর্থাৎ নাসার সমীপ হইতেই মণ্ডলাকারে দুই ভাগে বিভক্ত হইয়া নাসাস্বয়ের অভ্যস্তরে গিয়াছে, তাহাকে অমরাবতী বলে । আমবাবতী দ্বারা ভ্রাণশক্তি এবং তেজোবর্তী দ্বারা দর্শনশক্তি জন্মে ॥ ২• } কর্ণেব নিকটে দক্ষিণভাগে সংযমনী নামে যমলোক এবং তাহার পাশ্বে নৈঋতলোক বিদ্যমান আছে । ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, কর্ণের পার্শ্বে এরূপ একটি স্থন আছে যে,তাহাতে আঘাত লাগিব মাত্র জীৰ অচেতন হইরা পডে, অধিক কি,মৃত্যু পৰ্য্যস্তও হয়, এই জন্ত উহাকে যমলোক বলে। উহারই পার্থে,3 এরূপ একটি স্থান আছে যে, তাহার সাহায্যে জীব মাংসাদি চৰ্ব্ব্য বস্তু ভক্ষণ করিতে সমর্থ হয়, এই জন্ত তাঁহাকে নৈঋতলোক বারাক্ষসলোৰ কহে ॥২১