পাতা:গীতা-গ্রন্থাবলী (উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়).djvu/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তি গীত। l OoG) শৃণোষি বীক্ষসে যদষত্তন্ত্র সংবিদনুজমা । অনুস্থ্যততয়া ভাতি তত্তৎসৰ্ব্ব প্রকাশিকা ॥ ১২ ॥ সংবিদং তাং ংিচারেণ চৈতন্তমবধারয় । তত্ৰ পখালি যদ্বস্তু জানামীতি বিভাসতে । তদ্ধি সংবিৎপ্রভাবেন বিজ্ঞেয়ং স্বরূপং তত: ॥ ১৩ ॥ ইহাকেই সংবিৎ নামে অভিহিত করিয়াছেন । জ্ঞান এবং সংবিৎ এই শব্দদ্বয় একার্থক, অর্থাৎ শব্দগত ভেদ ভিন্ন আর ইহাদের কিছুমান্দ্র ভেদ নাই। শ্রবণ দ্বারা যাহা শ্রবণ কর, চক্ষুরিন্দ্রিয় দ্বার স্বাহী দর্শন কর, তৎসমুদয়ে একই সংবিৎ অন্তস্থ্যত থাকিয়া সেই সেই ৰিষয় জ্ঞানৰুে প্রকাশ করেন। সেই সংবিৎকে কুটস্থ চৈতন্যরূপ আত্মা অবধারণ কর। যাকা কিছু দর্শনাদি করিতেছ, তৎসমুদয়ই আমি জানিতেছি, এই প্রকার জ্ঞান হয়। এই যে জ্ঞানের অবভাস, ইহা কেবল সেই সংবিৎ-প্রভাবেই হইয়া থাকে। সেই সংবিৎই আত্মরূপে বিজ্ঞেয় ॥ ১২-১৩ ॥ তিনি কাচারও দুহু নহেন, তাই বলিয়াছেন, “নোদেতি মাস্তমেতোষা ন বুদ্ধির্যাতি ন ক্ষয়ম্। স্বয়ং তথাৰিধান্তানি ভাসয়েৎ সাধনং বিনা ॥” শ্লহার জন্ম, বিনাশ, বৃদ্ধি ও ক্ষয় নাই, তিনি অসঙ্গ ও নিৰ্ব্বিকারভাবে অবস্থিত থাকিয়া বিনা যত্বে ও বিনা সাধনে সাভাস অস্তঃকরণ হইতে দেহাদি এবং বাহ বিষয়সমূহকে প্রকাশ করেন। যেমন অগ্নিসংযোগে লৌহ ও জল ইত্যাদি প্রতপ্ত হইয়া সমস্ত বস্তুকে দগ্ধ করিতে সমর্থ হয়, তেমন আশ্রয় সাক্ষিস্বভাৰ নিৰ্ব্বিকার প্রজ্ঞান চৈতন্তের আভাসে চেতনা প্রাপ্ত হইয়া অস্তঃকরণাদি সকল পদার্থ সচেতন পদার্থের স্তায় ব্যাপারবান হয়। অতএব আমি দেখিতেছি, আমি শুনিতেছি, আমি আভ্রাণ লইতেছি, আমি জাস্বাদ গ্রহণ করিতেছি, সাভাস অন্তঃকরণের বৃত্তিযোগে ভিন্ন ভিন্ন ইন্দ্রিয় দ্বারা ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপলব্ধি একমাত্র অধিষ্ঠান নিৰ্ব্বিকার সাক্ষী-চৈতন্তে অবভাসিত হয়। ঐ অধিষ্ঠানরূপ নিৰ্ব্বিকার সাক্ষী চৈতন্ত “প্রজ্ঞান” শব্দে কথিত হয়েন। এক্ষণে ব্ৰহ্ম-শব্দের অর্থ কথিত হইতেছে। দেবাদি উত্তম শরীরে, মল্পষ্যাদি মধ্যম শরীরে, পশু-পক্ষী-কটাদি অধম শরীরে, আকাশাদি পঞ্চ মশহুতে জগছুৎপত্তির অধিষ্ঠান-কারণরূপ যে একমাত্র চৈতন্য প্রকাশ পাইতেছেন, তিনিই প্রজ্ঞান সমষ্টিরূপ ‘ব্রহ্ম" শব্দে কথিত হয়েন । এই প্রজ্ঞানই স্থানন্দ