পাতা:গীতিচর্চা (তৃতীয় খণ্ড) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N আকারমাত্রিক স্বরলিপি -পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা স র গ ম প ধ ন— সপ্তক । খাদ-সপ্তকের চিহ্ন স্বরের নীচে হলস্ত, যথা— প্র, ধ, এবং উচ্চ-সপ্তকের চিহ্ন স্বরের মাথায় রেফ, যথা– সঁ, র। - * - কোমল র— ঋ, কোমল গ— জ্ঞ, কড়ি ম— ক্ষ, কোমল ধ— দ এবং কোমল ন— ণ । i H ঋ* =অতিকোমল ঋষভ । অতিকোমল ঋষভের স্থান স ও ঋ স্বল্পবয়ের মধ্যবর্তী। জ্ঞ১ , দ’ , ণ * =যথাক্রমে অতিকোমল গান্ধার, ধৈবত ও নিষাদ । ঋ* = অণুকোমল ঋষভ | অণুকোমল ঋষভের স্থান ঋ ও র স্বরদ্বয়ের মধ্যবর্তী। জ্ঞ, দং , ৭২ =যথাক্রমে অপুকোমল গান্ধার, ধৈবত ও নিষাদ । একমাত্রা= 1 । অর্ধমাত্ৰা= : সিকিমাত্ৰা= ০ । দুইটি অর্ধমাত্রা, যথা— সরা । চারিটি সিকিমাত্রা, যথা– সরগম। । দুইটি সিকিমাত্রা, যথা– সরঃ । একটি সিকিমাত্রা, যথা– স০ । একটি অর্ধমাত্রা ও দুইটি সিকিমাত্রা মিলিয়া একমাত্রা, যথা– স; গরঃ । একটি দেড়মাত্রা ও একটি অর্ধমাত্রা মিলিয়া দুই মাত্রা, যথা— রা; গঃ । কোনো আসল স্বরের পূর্বে যদি কোনো নিমেষকালস্থায়ী আনুষঙ্গিক স্বর একটু ছুইয়া যায় মাত্র, তাহা হইলে সেই স্বরটি ক্ষুদ্র অক্ষরে আসল স্বরের বাম পাশ্বে লিখিত হয়, যথা— মরা গরা । আসল স্বরের পরে কখনো অন্য স্বরের ঈষৎ রেশ লাগে ; তখন ঐ স্বর ক্ষুদ্র অক্ষরে দক্ষিণ পাশ্বে লিখিত হয়, যথা— রাস । s বিরামের চিহ্ন ও মাত্রাসমূহের চিহ্ন একই ; হাইফেন-বর্জিত হইলে এবং স্বরাক্ষরের গায়ে সংলগ্ন না থাকিলেই সেই মাত্রা, বিরামের মাত্রা বলিয়া বুঝিতে হইবে। স্বরের ক্ষণিক স্তব্ধতাকে বিরাম বলে । তাল-বিভাগের চিহ্ন এক-একটি দাড়ি। সমে ও সম্ হইতে তালের এক ফেরা হইয়া গেলে দাড়ির স্থলে I এরূপ একটি “দণ্ড’ চিহ্ন বসে। প্রায় প্রত্যেক কলির আরম্ভে দুইটি দণ্ড বসে। যেখানে গান একেবারে শেষ হয় সেখানে চারিটি দণ্ড বসে । মাত্রাসমষ্টি ভিন্ন ভিন্ন গুচ্ছে বিভক্ত, প্রত্যেক গুচ্ছের প্রথম মাত্রার শিরোদেশে ১, ২, ৩, ৪, ০, ইত্যাদি সংখ্যা বিভিন্ন তালাঙ্ক নির্দেশ করে। শূন্ত-চিহ্নে ( ) ফাক ও যে সংখ্যায় রেফ-চিহ্ন থাকে (১%) তাহাতেই সম বুঝিতে হইবে।