দিয়াছিল। আমি দ্বিতল হইতে ক্রমে নিম্নতলে গমন করিলাম। যে প্রকোষ্ঠে আট দশজন দস্যু অবস্থিতি করিতেছিল, তাহারা প্রায় সকলেই আমাকে নিম্নতলে যাইতে দেখিল কিন্তু কেহই আমাকে কিছুই বলিল না বা জিজ্ঞাসা করিল না যে আমি কোথায় যাইতেছি উহাদিগের মধ্যে কেবল দুই এক জন আমার দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া একটু হাসিল মাত্র। আমি নীচে গমন করিলাম, ঐ বাড়ীর নিয়তলে গমন করিবার আমার এই মাত্র উদ্দেশ্য ছিল যে যদি দেখিতে পাই ঐ বাড়ীর কোন দরওয়াজা খোলা আছে বা ঐ রাড়ী হইতে বহির্গত হইবার অপর কোন উপায় আছে তাহা হইলে আমি ঐস্থান হইতে পলায়ন করিবার চেষ্টা করিব; কিন্তু নিম্নতলে গমন করিয়া দেখিলাম যে আমার উদ্দেশ্য সফল করিবার কোনরূপ উপায়ই নাই। বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করিবার বা বাড়ী হইতে বহির্গত হইবার কেবল মাত্র দুইটী দরওয়াজা আছে। একটী সদর দরওয়াজা অপরটী খিড়কী। দরওয়াজার নিকট গমন করিলাম, কিন্তু দেখিলাম আমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিবার কোনরূপ উপায় নাই। দুইটা দরওয়াজার ভিতর হইতে তালা বদ্ধ ও দুইটা দরওয়াজার নিকটেই দুই জন করিয়া লোক উপবিষ্ট। আমি উহাদিগের প্রত্যেককেই ঐ দরওয়াজা খুলিয়া দিতে বলিলাম, কিন্তু কেহই আমার কথা, শুনিল না। অধিকন্তু আমাকে যৎপরোনাস্তি গালি দিয়া সেই স্থান হইতে আমাকে তাড়াইয়া দিল। আমি অনন্য উপায় হইয়া আমার থাকিবার নির্দ্দিষ্ট ঘরে পুনরায় গমন করিলাম ও সেই স্থানে বসিয়া অশ্রুজলে আপন বস্ত্র অভিষিক্ত করিতে লাগিলাম। আমার দিকে কেহই দৃষ্টিপাত করিল না, বা কেহই আমাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা
পাতা:গুপ্ত রহস্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
দারোগার দপ্তর, ১৩৪ সংখ্যা।