পাতা:গুপ্ত রহস্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
দারোগার দপ্তর, ১৩৪ সংখ্যা।

কি না? কিন্তু পরে জানিতে পারিয়াছিলাম যে, কিরূপ ভয়ানক স্বার্থের বশবর্ত্তী হইয়া উহারা ঐ স্ত্রীলোকটীর সহিত এই মিথ্যা কলহ উপস্থিত করিয়াছিল। পরে জানিতে পারিয়াছিলাম যে উহারা সামান্য স্বার্থের বশবর্ত্তী হইয়া কি ভয়ানক নিসৃংস কার্য্যে প্রবৃত্ত হইবার মানসে এই কলহের সূত্রপাত করিয়াছিল। পরে জানিতে পারিয়াছিলাম যে সেই নিতান্ত সামান্য স্বার্থ কি ও সেই স্বার্থের বশবর্ত্তী হইয়া উহার কিরূপ ভয়ানক কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিল।

 আপনারা অনেক দস্যু দেখিয়াছেন; দস্যুবৃর্ত্তি যাহাদিগের ব্যবসা, দস্যুবৃর্ত্তি করিয়া যাহারা জীবন ধারণ করিয়া থাকে এরূপ শত সহস্র দস্যু আপনাদিগের হস্তগত হইলেও এরূপ দস্যু আপনারা কখনই দেখেন নাই। আপনারা অনেক হত্যাকারী দেখিয়াছেন, অনেক হত্যা মোকদ্দমার আপনার অনুসন্ধান করিয়াছেন, অনেক হত্যাকারী আপনাদিগের সম্মুখে দণ্ডনীয় হইয়া চির জীবনের নিমিত্ত ইহলোক পরিত্যাগ করিয়া পরলোক গমন করিয়াছে; কিন্তু আমি বলিতে পারি এরূপ হত্যাকারী এ পর্যন্ত আপনাদিগের হস্তগত হয় নাই।

 ঐ স্ত্রীলোকটার সহিত কলহ বাধাইয়া দিয়া দেখিলাম সকলেই একপক্ষ অবলম্বন করিল। সকলেই ঐ স্ত্রীলোকটীর বিপক্ষে দণ্ডায়মান হইয়া তাহাকে যংপরোনাস্তি গালিগালাজ করিতে, লাগিল, কেহ কেহ বা তাহাকে অল্প অল্প প্রহার দিতেও পশ্চাৎপদ হইল না; কেহ বা তাহার অঙ্গ হইতে কতকগুলি অলঙ্কার উন্মাচিত করিয়া লইল। স্ত্রীলোকটীকে সকলই সহ্য করিতে হইল। প্রথম প্রথম সে একটু জোর করিয়াছিল, কিন্তু পরে বুঝিল সেই স্থানে