পাতা:গুপ্ত রহস্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
দারোগার দপ্তর, ১৩৪ সংখ্যা।

রাত্রিকালে উহার মৃত্যু হইয়াছে, মৃত্যুর পর অবশিষ্ট রাত্রি অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে তাহার পর সমস্ত দিবস গত হইয়া পুনরায় রাত্রি আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে, ইহার মধ্যে ঐ মৃত দেহের অন্তেষ্টীক্রিয়া হয় নাই কেন? বা উহাকে ঐ ঘর হইতে স্থানান্তরিত করাই রা হয় নাই কেন। মনে মনে আজ নানা চিন্তা আসিয়া উপস্থিত হইল। কিন্তু সাহস করিয়া আমার মনের কথা কাহাকেও জিজ্ঞাসা করিতে সাহসী হইলাম না। আর জিজ্ঞাসা করিলেইবা উহারা আমাকে তাহাদিগের অভিসন্ধির কথা বলিবেই বা কেন? সেই সময়ে আমার মনের যেরূপ অবস্থা হইয়াছিল তাহা আপনারা কিছু মাত্র অনুমান করিতে পারিবেন না। আমি মনে করিলাম ঐ স্ত্রীলোকটীর অবস্থা আমার সম্মুখে যাহা ঘটিল পরে আমার অদৃষ্টেও সেই অবস্থা ঘটিবে। এক দিবস না এক দিবস কোনরূপ ছল অবলম্বন করিয়া ইহারা আমাকেও ঐ স্ত্রীলোকটীর অনুগামিনী করিবে। মনে মনে এরূপ ভাবিয়া পুনরায় আমি আপন প্রকোষ্ঠে আগমন করিলাম ও সেই স্থানে শুইয়া নানারূপ চিন্তায় সেই রাত্রি অতিবাহিত করিলাম। আমি ভয়ানক বিপদে পতিত হইয়া ঐ স্থানে আবদ্ধাবস্থায় অতিবাহিত করিলেও, সময় সময় নিদ্রাদেবী আমার উপর অনুকম্পা প্রকাশ করিতেন, কিন্তু জানিনা কি ভাবিয়া সমস্ত রাত্রির মধ্যে এক বারের নিমিত্ত তিনি আমাকে দর্শন দিলেন না। পর দিবস প্রত্যুষে আমি আপন প্রকোষ্ঠ পরিত্যাগ কঝিয়া পুনরায় নিম্নতলে গমন করিলাম কিন্তু সেই সময় ঐ মৃত দেহ আর সেই স্থানে দেখিতে পাইলাম না। উহা যে কোথায় গেল, কে লইয়া গেল বা কখনই স্থানান্তরিত হইল, তাহাও কিছু বুঝিয়া উঠিতে পারিলাম না। মনে মনে ভাবিলাম রাত্রিকালে ঐ মৃত দেহের