পাতা:গুপ্ত রহস্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
দারোগার দপ্তর, ১৩৪ সংখ্যা।

হইতে মূল্যবান দ্রব্য সকল বাহির করিয়া লইয়া পুনরায় ঐ সিন্ধুক আমরা বন্ধ করিয়া দি ও চাবি লইয়া আসি।

 দ্বিতীয় ব্যক্তি। আজ সন্ধ্যার পর আমি বেড়াইতে বেড়াইতে সেই স্থানে গমন করিয়াছিলাম ও দেখিয়াছিলাম ঐ ঘরে দরওয়াজার বাহির হইতে তালা বন্ধ আছে। যে সিঁদ কাটিয়া আমরা ঘরের ভিতর প্রবেশ করিয়াছিলাম সেই সিঁদ তখন পর্যন্ত বর্ত্তমান আছে। এই অবস্থা দেখিয়া আমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিতে পারিব বিবেচনা করিয়া সে স্থান হইতে চলিয়া আসি। যে সময় ঐ বাড়ীতে আমরা সিঁদ দিয়া চুরী করিয়াছিলাম, তাহার পূর্ব্ব হইতেই ঐ স্থানের অধিবাসিবর্গের অবস্থা আমরা উত্তমরূপে অবগত হইয়া ছিলাম। জানিতে পারিয়াছিলাম রাত্রি ১২টার পর ঐ পাড়ার ভিতর লোকের চিহ্ন মাত্রও দেখিতে পাওয়া যায় না। রাত্রি ১২টার পর ঐ স্থান হইতে একখানি গৃহ উঠাইয়া লইয়া গেলেও কেহ তাহা জানিতে পারে না। সেই সময় ঐ স্থানের অধিবাসিবর্গ ঘোর নিদ্রায় অভিভূত থাকে।

 ঐ গৃহের অবস্থা দর্শন করিয়া আমি এই স্থানে আগমন করি ও আমাদিগের দলস্থিত অপর কয়েক ব্যক্তির সাহায্যে যে চারিপায়ার উপর ঐ মৃত দেহ রক্ষিত ছিল, সেই চারিপায়ার সহিত আমরা উহাকে লইয়া সেই স্থানে গমন করি। স্থানে স্থানে দুই এক লোকের সহিত আমাদিগের সাক্ষাৎ হইয়াছিল বটে কিন্তু মৃত দেহ বহন করিয়া লইয়া যাইতেছি দেখিয়া কেহ আমাদিগকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিল না। ক্রমে আমরা সেই স্থানে গিয়া উপস্থিত হইলাম ও সিঁদের সন্নিকটে ঐচারিপায়া সন্নিবেশিত করিয়া পরিশেষে ঐ মৃত দেহ লইয়া ঐ সিঁদ পথে আমরা সেই ঘরের ভিতর