পাতা:গুপ্ত রহস্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।

 তারামণির কথা শুনিয়া তখন আমরা বুঝিতে পারিলাম যে কেন আমরা মহাভ্রমে পতিত হইয়াছিলাম, তারামণিকে হত্যাকরা অপরাধে মসলিম্ প্রভৃতিকে বিচারার্থ প্রেরণ করিয়া কেনই বা আমরা বিশেষরূপে লাঞ্ছিত ও অবমানিত হইয়াছিলাম। তারামণির লোহার সিন্ধুকের ভিতর যে মৃতদেহ পাওয়া গিয়াছিল, রাসায়ণিক পরীক্ষকের পরীক্ষায় ঐ মৃতদেহের অভ্যন্তর হইতে যে কেন বিষের চিহ্ন প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছিল তাহা এখন জানিতে পারিলাম। এখন জানিতে পারিলাম কবরস্থান হইতে মতিয়া বিবি নামী স্ত্রীলোকের মৃতদেহের হঠাৎ অন্তর্ধানের রহস্য কি, এখন জানতে পারিলাম সেই সময় বহু অনুসন্ধান করিয়াও আমরা কেন মতিয়া বিবির মৃতদেহের অনুসন্ধান করিয়া উঠিতে পারি নাই।

 এই সমস্ত অবস্থা তারামণির নিকট হইতে অবগত হইয়া পুনরায় তাহাকে কহিলাম, “তারামণি তোমার কথা শুনিয়া আজ আমাদের চক্ষু ফুটিল। যে বিষয় আমরা কখনও স্বপ্নেও অনুমান করিতে পারি নাই, আজ দেখিতেছি দস্যগণ, সেই সকল বিষয় হাঁসিতে হাঁসিতে সম্পন্ন করিয়া থাকে। যে সকল বিষয় মানব চক্ষুর অগোচর যে সকল বিষয় মানব হৃদয়ে সহজে স্থান পায় না, এখন দেখিতেছি সেই সকল বিষয় দস্যুগণের চক্ষুর সম্মুখে সতত বিদ্যমান থাকে ও উহা সতত হয়ে সতত বিরাজ করে। দস্যুগণ ও মনুষ্য, কিন্তু জানি না কোনরূপ দৈব অনুগ্রহে