পাতা:গুপ্ত রহস্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গুপ্ত-রহস্য।
৪৩

হত হয় ও ঐ বাড়ী হইতেই তাহার মৃত দেহ স্থানান্তরিত হয়। যে ঘরে তারামণী বাস করিত সে ঘর আমাদিগকে দেখাইয়া দিল, যে ঘরে মতিয়া বিবি হত হইয়াছিল, যে ঘরে মস‍্লিম প্রভৃতি সকলে বাস করিত, মতিয়া বিবির মৃত্যুর পর যে ঘরে তাহার মৃত দেহ রাখিয়া দিয়াছিল তাহা সমস্তই আমরা দেখিয়া লইলাম। ঘরের অবস্থা দেখিয়া বেশ বুঝিতে পারিলাম যে তারামণী আমাদিগকে যাহা যাহা বলিয়াছিল, তাহার একটা কথাও মিথ্যা নহে।

 ঐ বাড়ীর ভিতর আমরা উত্তম রূপে অনুসন্ধান করিলাম, কিন্তু আমাদিগের আবশ্যক উপযোগী কোন দ্রব্য উহার মধ্যে প্রাপ্ত হইলাম না। সমস্ত ঘর গুলি বিশেষ পরিষ্কার অবস্থায় রক্ষিত ছিল, কোন দ্রব্যাদি উহার মধ্যে ছিল না। ঐ বাড়ীর দ্বিতলের উপর কিছু মাত্র প্রাপ্ত না হইয়া নিম্ন তলে আসিলাম। সমস্ত ঘর পরিস্কার করিয়া সমস্ত ঘরের আবর্জ্জনা যে স্থানে নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল, সেই স্থানটী উত্তমরূপে দেখিলাম। দেখিলাম উহার মধ্যে নিতান্ত ছিন্ন অবস্থায় দুই এক খানি পত্র পড়িয়া আছে; ঐ ছিন্ন পত্রগুলি বিশেষ সতর্কতার সহিত সংগ্রহ করিলাম, দেখিলাম, উহা নাগরি ভাষায় লিখিত। পত্র ডাকে আসিয়াছে বলিয়া অনুমান হইল। আমাদিগের মধ্যে যে সকল কর্মী ছিলেন তাহাদিগের মধ্যে একজন কিছু নাগরি জানিতেন, ঐ ছিন্ন পত্রগুলি তাহাকেই প্রদান করিলাম, উহাতে যে কি লেখা আছে তাহা জানিতে তাহায় প্রায় সমস্ত দিবস অতিবাহিত হইয়া গেল। ঐ পত্র হইতে অবগত হইলাম, ঐ পত্রগুলি রাইবেরেলী জেলার অন্তর্গত কোন এক খানি পল্লি হইতে মহম্মদ আলি নামক এক ব্যক্তি তাহার