আসিয়া উপস্থিত হইবার রহস্যই বা কি? এত দিবস পর্য্যন্ত তারামণি কোথায় ছিল, কিরূপেই বা মসলিম্ তাহাকে বিচারালয়ে আনিয়া উপস্থিত করিতে সমর্থ হইয়াছিল এখন তাহাই দেখা যাউক। আরও দেখা যাউক তারামণির ঘর হইতে কোন মূল্যবান দ্রব্য অপহৃত হইয়াছে কি না? আর যদি অপহৃত হইয়াই থাকে তাহা হইলে কি কি দ্রব্য কিরূপে ও কাহা কর্ত্তৃক অপহৃত হইল।
মনে মনে এইরূপ ভাবিয়া আমরা তায়ামণিকে ডাকিলাম, আমাদিগের কথা শুনিয়া, তারামণি আমাদিগের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইলে আমরা তাহাকে কহিলাম, “তারামণি তোমার ঘর হইতে তোমার কোন মূল্যবান দ্রব্য অপহৃত হইয়াছে কি? ও যদি হইয়াই থাকে তাহা হইলে বলিতে পার কি, কাহা কর্ত্তৃক তোমার সমস্ত দ্রব্য অপহৃত হইয়াছে? ও তুমিই বা কিরূপে তোমার ঘর হইতে স্থানান্তরিত হইয়াছিলে ও এত দিবস পর্য্যন্ত কোথায় ও কিরূপে অবস্থিতি করিতেছিলে? ইহার আনুপূর্ব্বিক অবস্থা আমরা জানিতে বাসনা করি। আমাদিগের প্রস্তাবে যদি তোমার কোনরূপ আপত্য না থাকে তাহা হইলে, এই সকল বিষয়ের নিগুঢ় রহস্য কি, তাহা প্রকাশ করিয়া আমাদিগের কৌতুহল নিবারণ ও আমাদিগের বাসনা পরিতৃপ্ত কর।”
আমাদিগের কথার উত্তরে তারামণি কহিল, “আমার ঘর হইতে, দস্যুগণ কিরূপে আমার যথাসর্ব্বস্ব অপহরণ করিয়া লইয়া যায় ও সেই সময় হইতে আমার অদৃষ্টে যে কিরূপ ভয়ানক কষ্ট ও দুঃখ আসিয়া উপস্থিত হয়, ও এত দিবস পর্য্যন্ত যেরূপে আমি দিনযাপন করিয়াছি তাহার আনুপূর্ব্বিক অবস্থা আমি যতদুর স্মরণ করিয়া