পাতা:গুরু - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরু > * কোথায় তার অন্ত পাব । এখানে সমস্তই জানা, সমস্তই অভ্যস্ত— এখানুকণর সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এখানকারই সমস্ত শাস্ত্রের ভিতর থেকে পাওয়া যায়—তণর জন্তে একটুও বাইরে যাবার দরকার হয় না। এই ত নিশ্চল শান্তি ! উপাচায্য । আচাৰ্য্যদেব, আপনাকে এমন, বিচলিত হ’তে কখনো দেখিনি । আচার্য্য ! কি জানি, অামার কেমন মনে হচ্চে কেবল একলা আমিই না, চারিদিকে সমস্তই বিচলিত হ’য়ে উঠছে । আমার মনে হচ্চে অামাদের এথানকার দেয়ালের প্রত্যেক পাথরটা পৰ্য্যস্ত বিচলিত । তুমি এটা অন্ত ভব করতে পারচ ন। স্বতসোম ? উপাচায্য । কিছুমাত্র না । এখানকার অটল - স্তব্ধতার লেশমাত্র বিচূতি দেখতে পাচ্চিনে। আমাদের ত বিচলিত হবার কথাও না, অণমাদের সমস্ত শিক্ষা কোন কালে সমাষ্ট্ৰ হ’য়ে গেছে । অামাদের সমস্ত লাভ সমাপ্ত, সমস্ত সঞ্চয় পৰ্য্যাপ্ত । ** ঐ যে পঞ্চক আসচে। পাথরের মধ্যে কি ঘাস বেরয় ? এমূন ੱਛੇ আমাদের আয়তনে কি করে’ সম্ভব হ’ল ? ওই আমাদের দুলক্ষণ | এই আয়তনের মধ্যে ও কেবল আপুনাকেই মানে । আপনি ওকে একঢ় ভৎসনা কৰুে দেবেন । J ৯ আগচাৰ্য্য । *. তুমি যাও । আমি ওর সঙ্গে একটু নিভৃতে কুথ কয়ে দেখি । [ উপাচাৰ্য্যের প্রস্থান ) ( পঞ্চকের প্রবেশ ) আচাৰ্য্য । ( পঞ্চকের গায়ে হাত দিয়া ) বৎস, পঞ্চক ! পঞ্চক করলেন কি ? আমাকে ছুলেন ?