পাতা:গুরু - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরু * Σ (ζ অাচায্য । না, হ’তে দেব না, যদি কোনো অপরাধ ঘটে সে আমার । তোমাদের ভয় নেই । উপাধ্যায় । এ রকম দুৰ্ব্বলতা ত আপনার কোনো দিন দেখিনি । এই ত সেবার অষ্টাঙ্গ শুদ্ধি উপবাসে তৃতীয় রাত্রে বালক কুশলশীল জল জল করে” পিপাসায় প্রাণত্যাগ করলে কিন্তু তবু তার মুখে যখন এক বিন্দু জল দেওয়া গেল না, তখন ত আপনি নীরব হ’য়ে ছিলেন । তুচ্ছ মানুষের প্রাণ অাজ অাছে কাল নেই, কিন্তু সনাতন ধৰ্ম্মবিধি ত চিরকালের । সুভদ্রকে লইয়া পঞ্চকের প্রবেশ । পঞ্চক ভয় নেই সুভদ্ৰ, তোর কোনো ভয় নেই—এই শিশুটিকে অভয় দাও প্রভু ! আচাৰ্য্য। বংস, তুমি কোনো পাপ করনি। যারা বিনা অপরাধে তোমাকে হাজার হাজার বৎসর ধরে মুখ বিকৃত করে ভয় দেখাচ্চে, পাপ তাদেরই ; এস পঞ্চক । 啤 সুভদ্রকে কোলে লইয়। পঞ্চকের সঙ্গে প্রস্থান ) উপাধ্যায় । এ কি হ’ল উপাচাৰ্য্য মশায় ? [ উপাচার্য্যের প্রস্থান ] মহাপঞ্চক । আমরা অশুচি হ’য়ে রইলুম, আমাদের যাগ যজ্ঞ ব্রত উপবাস সকলি পণ্ড ষ্ট’তে থাকুল, এ ত সহ করা শক্ত । উপাধ্যায় । এ সহ করা চলবে না । আচাৰ্য্য কি শেষে আমাদের স্নেচ্ছের সঙ্গে সমান করে দিতে চান ? মহাপঞ্চক । উনি আজ সুভদ্রকে বাচাতে গিয়ে সনাতন ধৰ্ম্মকে বিনাশ করবেন ! এ কি রকম বুদ্ধি-বিকার ওঁর ঘঢ়ল ? এ অবস্থায় ওঁকে আচাৰ্য্য বলে গণ্য করাই চলবে না।