পাতা:গুরু - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σb" • গুরু অমৃতবাণী ? কিন্তু আমার তালু যে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে । রসনায় যে রসের লেশমাত্র নেই ! এবার নিয়ে,এস সেই বাণী, গুরু, নিয়ে এস হৃদয়ের বাণী ! প্রাণকে প্রাণ দিয়ে জাগিয়ে দিয়ে মাও ! পঞ্চক । ( ছুটিয় প্রবেশ করিয়া ) তোমার নববর্ষার সজল তাওয়ায় উড়ে যাক সব শুকনো পাতা আয়, তোরা ফুটে বেরে ৷ ভাই জয়োত্তম, শুনচনা, আকাশের ঘননাল আয়রে নবীন কিশলয়—তোরা ছুটে মেঘের মধ্যে মুক্তির ডাক উঠেছে—আজি নৃত্য করবে নৃত্য কর । ( গান ) ওরে ওরে ওরে তাপমার মন মেতেছে তারে অণুজ থামায় কেরে । সে সে অাকাশ পণনে তা ত পেতে চে তারে অণুজ নামায় কেরে । ( প্রথমে জয়োত্তমের, পরে বিশ্বস্তরের, পরে সঞ্জীবের নৃত্যগীতে যোগ ) মহাপঞ্চক । পঞ্চক, নিলজ্জ বানর কোথাকার, থাম বলচি থাম । পঞ্চক | ( গান ) ওরে আমার মন মেতেছে আগমণরে থামায় কেরে । স্থাপঞ্চক । উপাধ্যায়, আমি তোমাকে বলিনি একজটা দেবীর শাপ আরম্ভ হয়েছে ? দেখচ, কি করে তিনি আমাদের সকলের বুদ্ধিকে বিচলিত করে তুলচেন—ক্রমে দেখবে অচলায়তনের একটি পাথরও আর থাকবেন । | পঞ্চক । না, থাকবেনা, থাকবেনা, পাথরগুলো সব পাগল হয়ে যাবে ; তারা কে কোথায় ছুটে বেরিয়ে পড়বে, তারা গান ধরবে—