পাতা:গুরু - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 令夺 উপাধ্যায়। সে পরিশ্রমটা তোমাদের করতে হবে না, উপযুক্ত লোক আসচে । মহাপঞ্চক ! তোমরা মিথ্যা বিচলিত হচ্ছ । বাইরের প্রাচীর ভাঙতে পারে, কিন্তু ভিতরের লোহার দরজা বন্ধ আছে । সে যখন ভাঙবে তখন চন্দ্র স্বৰ্য্য নিবে যাবে। আমি অভয় দিচ্চি তোমরা স্থির হয়ে দাড়িয়ে অচলায়তনের রক্ষক দেবতার আশ্চর্য্য শক্তি দেখে নাও । উপাধ্যায়। তার চেয়ে দেখি কোন দিক দিয়ে বেরবার রাস্ত । বিশ্বম্ভর । আমাদেরও ত সেই ইচ্ছা । কিন্তু এখান থেকে বেরবার পথ যে জানিই নে ! কোনো দিন বেরতে হবে বলে স্বপ্নেও মনে করিনি। সঞ্জীব । শুনচ—ঐ শুনচ, ভেঙে পড়ল সব । ছাত্ৰগণ । কি হবে আমাদের । নিশ্চয় দরজা ভেঙেছে । এই যে একেবারে নীল আকাশ । ( বালকদলের প্রবেশ ) উপাধ্যায়। কিরে তোরা সব নৃত্য করচিস কেন ? প্রথম বালক । আজ এ কি মজা হল । উপাধ্যায়। মজাটা কি রকম শুনি ? দ্বিতীয় বালক । আজ চারদিক থেকেই আলো আসচে—সব যেন ফণক হয়ে গেছে । তৃতীয় বালক । এত আলো ত আমরা কোনদিন দেখিনি । প্রথম বালক । কোথাকার পার্থীর ডাক এখান থেকেই শোনা যাচ্ছে । দ্বিতীয় বালক । এ সব পার্থীর ডাক আমরা ত কোনদিন শুনিনি । এ ত আমাদের খাচার ময়নার মত একেবারেই নয় । প্রথম বালক । আজ আমাদের খুব ছটুতে ইচ্ছে করচে। তাতে কি দোষ হবে মহাপঞ্চকদাদা ?