পঞ্চক।
(গান)
ফিরি আমি উদাস প্রাণে, তাকাই সবার মুখের পানে,
তোমার মত এমন টানে কেউ ত টানে না॥
ওহে জয়োত্তম, তুমি কাঁধে কিসের বোঝা নিয়ে চলেচ? বোঝা ফেল। গুরু আস্চেন যে!
জয়োত্তম। আরে ছুঁয়ো না, এ সব মাঙ্গল্য। গুরুর জন্যে সিংহ-দ্বার সাজাতে চলেচি।
পঞ্চক। গুরু কোন দ্বার দিয়ে ঢুকবেন তা জানবে কি করে’?
জয়োত্তম। তা ত বটেই! অচলায়তন জানবার লোক কেবল তুমিই আছ।
পঞ্চক। তোমরাও জান না আমিও জানিনে— তফাৎটা এই যে, তোমরা বোঝা বয়ে মর, আমি হাল্কা হ’য়ে বসে আছি।
জয়োত্তম। আচ্ছা, এখন পথ ছাড়, আমার সময় নেই।
পঞ্চক।
(গান)
বেজে ওঠে পঞ্চমে স্বর, কেঁপে ওঠে বন্ধ এ ঘর,
বাহির হ’তে দুয়ারে কর কেউ ত হানে না।
(মহাপঞ্চকের প্রবেশ)
মহাপঞ্চক। গান! অচলায়তনে গান! মতিভ্রম হয়েছে!
পঞ্চক। এবার দাদা স্বয়ং তোমাকেও গান ধরতে হবে। একধার থেকে মতিভ্রমের পালা আরম্ভ হ’ল!
মহাপঞ্চক। আমি মহাপঞ্চক গান ধরব! ঠাট্টা আমার সঙ্গে!