পাতা:গুরু - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 • গুরু পঞ্চক । ঠাট্ট নয় । অচলায়তনে এবার মন্ত্র ঘুচে গান আরম্ভ হবে । এই বোবা পাথরগুলো থেকে স্বর বেরবে। । ت== ـتـ মহাপঞ্চক । কেন বল ত ? পঞ্চক । গুরু আসচেন যে ! আমার কেবলি মস্তরে ভূল হচ্চে ! মহাপঞ্চক । গুরু এলে তোমার জন্যে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারব না ! পঞ্চক । তার জন্যে ভাবনা কি ! নিলজ্জ হ’য়ে একলা আমিই মুখ দেখাব ! মহাপঞ্চক । মন্তরে ভুল হ’লে গুরু তোমাকে আয়তন থেকে দূর করে দেবেন। পঞ্চক । সেই ভরসাতেই তার জন্যে অপেক্ষা করে? আছি । মহাপঞ্চক। অমিতায়ূধর্ণরণী মন্ত্রটা— পঞ্চক। সেই মন্ত্রটা স্বয়ং গুরুর কাছ থেকে শিখব বলেই ত আগাগোড়া ভোলবার চেষ্টায় আছি । সেইজন্যেই গান ধরেচি দাদা । মহাপঞ্চক। ঐ শঙ্খ বাজ ল। এখন আমার সপ্তকুমারিক গাথা পাঠের সময় । কিন্তু বলে যাচ্চি সময় নষ্ট কোরো না । গুরু আসচেন । পঞ্চক । ( গান ) আকাশে কার ব্যাকুলতা, বাতাস বহে কার বারতা, এ পথে সেই গোপন কথা কেউ ত আনে না । ওকিও ! কান্না শুনি যে ! এ নিশ্চয়ই সুভদ্র । আমাদের এই অচলায়তনে ঐ বালকের চোখের জল আর শুকল না। ওর কান্না আমি সইতে পারি নে । ( প্রস্থান ও বালক সুভদ্রকে লইয়া পুনঃ প্রবেশ ) পঞ্চক। তোর কোনো ভয় নেই ভাই, কোনো ভয় নেই। তুই আমার কাছে বল—কি হয়েছে বল ।