পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গহীদাহ SO9 প্রত্যুত্তরে অচলার ঠোঁটের কোণে শােধ একটুখানি বাঁকা হাসি দেখা দিল । মণিালী মনে মনে বঝিল, এ ছলনা। সে ছাড়াও আরো একটি নারীর কাছে প্ৰকাশ পাইয়াছে । তাহার বিরদ্ধে অচলা অন্তরের মধ্যে যে গোপন ঈযার ভাব পোষণ করে, তাহা সে মহিমের কাছে কোনদিন অ্যাভাসমাত্রে না পাইয়াও জানিত । এই একান্ত অমলক দ্বেষ তাহাকে কাঁটার মত বিধিত । কিন্তু অথাপি অচলা যে নিজের হীনতা দিয়া আজিকার দিনেও ওই পীড়িত লোকটির পবিত্র দাবলতাটুকুকে বিকৃত করিয়া দেখিবে, তাহা সে ভাবে নাই । মহন্তকালের নিমিত্ত তাস্থার মনটা জ্বালা করিয়া উঠিল, কিন্তু তৎক্ষণাৎ আপনাকে সংবরণ করিয়া লইয়া কানে কানে কহিল, তুমি ত সব জােন। সেজাদি, আমার হয়ে ওঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ো । বলো, ভাল হয়ে আবার যখন দেশে ফিরবেন, বেচে থাকি ত দেখা হবে । নীচে কেদারবাবা বসিয়াছিলেন । মণিাল প্ৰণাম করিয়া দাঁড়াইতেই তাঁথুর চোখের কোণে জল আসিয়া পড়িল । এই অললীকালের মধ্যেই সকলের মত তিনিও এই বিধবা মেয়েটিকে অতিশয় ভালবাসিয়াছিলেন । জামার হাতায় অগ্ৰ মছিয়া কহিলেন, মা, তোমার কল্যাণেই মহিমকে আমরা যমের মাখ থেকে ফিরে পেয়েছি । যখনি ইচ্ছে হবে, যখনই একটু বেড়াবার সাধ হবে, তোমার এই বড়ো ছেলেটিকে ভুলো না মা ; আমার বাড়ি তোমার জন্য রাত্ৰি-দিন খোলা থাকবে মণিল । অচলা অদরে চুপ করিয়া দাঁড়াইয়াছিল। মণাল তাহাকে দেখাইয়া হাসিমখে কহিল, যমের বাপের সাধ্যি কি ব্যব, ওঁর কাছ থেকে সেজদাকে নিয়ে যায় ! যেদিন সেজাদিগ্ন হাতে পৌছে দিয়েছি, সেইদিনই আমার কাজ চুকে গেছে ! কেদরবাবর মাখের ভাব একটু গম্ভীর হইল, কিন্তু আর তিনি কিছল বলিলেন। 可计 দইজন বদ্ধগোছের কমচারী ও একজন দাসী মণালকে দেশে পৌছাইয়া দিতে প্রস্তুত হইয়াছিল ; তাহদের সকলকে লইয়া সেন্টশনের অভিমখে ঘোড়ার গাড়ি ফাটকের বাহির হইয়া গেলে কেদারবাবার অন্তরের ভিতর হইতে একটা দীঘ“বাস পড়িল । ধীরে ধীরে শািন্ধ বলিলেন, অদ্ভুত, অপবৰ্ণ মেয়ে । সমরেশের মনটাও বোধ করি। এইভাবেই পরিপািণ হইয়াছিল । সে কোনদিকে DBDBBDuB u DBD DBD BB DBDBBBB DBDBDB DDD DDS DDD BBB MBDu BD দেখিনি কেদারবাব । , এমন মিলিট কথাও কখনো শনিনি, এমন নিপািণ কাজকম ও কখনো দেখিনি । যে কাজ দাও, এমন অপব দক্ষতার সঙ্গে করে দেবে যে মনে হবে। যেন এই নিয়েই সে চিরকালটা আছে । অথচ আশচষ। এই যে, কোনদিন গ্রামের বাইরে পযন্ত যায়নি । কেদারবাবা ইহা সত্য বলিয়া জানিলেও বিস্ময় প্রকাশ কবিয়া কহিলেন, বল কি नदेश ! সমরেশ বহিল, যথাৰ্থই তাই । ওর পানে চেয়ে চেয়ে আমার মাঝে মাঝে মনে হতো, এই যে জন্মান্তরের সংস্কার বলে প্রবাদ অাছে, কি জানি সত্যি নাকি । বলিয়া