পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'काश्लाश् S8S মাস যখন শেষ হইয়াই আসিতেছে এবং পথের অলপস বলপ ক্লেশও যখন সহ্য করতে সমথ, তখন আর কালবিলম্বব না করিয়া তাহার যাত্রা করাই কতব্য । যাবা-বয়সে তিনি নিজে একবার জব্বলপরে গিয়েছিলেন । সেই সন্মতি তাঁহার মনে ছিল, মহা উল্লাসে সেই সকল বণনা করিয়া কহিলেন, জগদীশের স্ত্রী এখনো জীবিত আছেন, তিনি মায়ের মত মহিমকে যত্ন করিবেন, এবং চাই কি, এই উপলক্ষে তাঁহারও আর একবার দেশটা দেখা হইয়া যাইবে । মহিম চুপ করিয়া এই-সকল শানিল, क्ट्रि কিছমাত্র উৎসাহ প্ৰকাশ করিল না । এই আগ্রহহীনতা শােধ অচলাই লক্ষ্য করিল। পিতা প্রস্থান করিলে সে আস্তে আস্তে জিজ্ঞাসা করিল, কেন, জব্বলপাের ত বেশ জায়গা, তোমার যেতে কি ইচ্ছে নেই ? মহিম কহিল, তোমরা সকলে আমাকে যতটা সস্থ সবল ভাবচ, ততটা এখনো আমি হইনি। কোনদিন হব। কিনা, তার আমি আশা করিনে । অচলা বলিল, সেই জন্যই ত ডাক্তার তোমার চেঞ্জের ব্যবস্থা করেছেন । ঘরে এলেই সমস্ত সেরে যাবে । মহিম ধীরে ধীরে ঘাড় নাড়িয়া ক্ষণকাল চুপ করিয়া রহিল । পরে কহিল, কি জানি । কিন্তু এ অবস্থায় আমার নিজের বা পরের উপর নিভাির করে সবগে যেতেও ভরসা হয় না । অচলা ভেতরে ভেতরে আমি বড় দািবল, বড় অসস্থি। তুমি কাছে না থাকলে হয়ত আমি বেশী দিন বাঁচবো না । বলিতে বলিতে তাহার কন্ঠস্বরা যেন সজল হইয়া উঠিল । যে মািখ ফুটিয়া কখনো কিছল চাহে না, কখনো নিজের দঃখ অভাব ব্যস্ত করে না, তাহারই মাখের এই আকুল ভিক্ষা ঠিক যেন শলের মত আঘাত করিয়া অচলার হৃদয়ে যত স্নেহ, যত কারণা, যত মাধয এতদিন রূদ্ধে হইয়াছিল, সমস্ত একসঙ্গে এক মহতে মােখ। খলিয়া দিল । সে নিজেকে আর ধরিয়া রাখিতে না পারিয়া পাছে অসম্পভব কিছ-একটা করিয়া বসে এই ভয়ে চক্ষের জল চাপিতে চাপিতে একেবারে ছটিয়া বাহির হইয়া গেল । মহিম হতবন্ধির মত অনেকক্ষণ পর্যন্ত বিসময়ে ব্যথায় সে উন্মত্ত দ্বারের দিকে নিনিমেষে চাহিয়া আবার ধীরে ধীরে শইয়া পড়িল । আবার যখন উভয়ে সাক্ষাৎ হইল তখন স্বামী-স্ত্রীর কেহই এ সম্পবন্ধে কোন কথা কহিল না । পরদিন অচলা একখানা টেলিগ্রাফ হাতে করিয়া আসিয়া হাসিমখে কহিল, জগদীশবাব টেলিগ্রামের জবাব দিয়েছেন, তাঁর বাসার কাছে আমাদের জন্যে उिनि qका gछाप्ने दाएिछ ठेक कgagछन् । মহিম কথাটা ঠিক বঝিতে না পারিয়া বলিল, তার মানে ? অচলা কহিল, বাবার বন্ধ বলে তোমাকেই না হয়। তিনি বাড়িতে জায়গা দিতে পারে। কিন্তু দ’জনে গিয়ে তা তার কাঁধে ভর করা যায় না । তাই কালই একটা বাসা ঠিক করবার জন্যে টেলিগ্রাম করতে বাবাকে চিঠি লিখে দিই। এই তার জবাব । বলিয়া সে হলদে খামখানা স্বামীর বিছানার উপর ছড়িয়া দিল । একবার