পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSO গাহদাহ সামথ্য নেই, বদলাবারও উদ্যম নেই"। এই রাস্তা ধরেই জীবনের শেষ পর্যন্ত চলতে হবে । কিন্তু তোমাকে যখন দেখি-যখন দেখি, এইটুকু বয়সে এত বড় আত্মবিসর্জন, যিনি সবগে গেছেন, তাঁর প্রতি এই, তাঁর মাকেই মা জেনে-আচ্ছা, থাক থাক, আর বলব না। কিন্তু আমিও যার মধ্যে মানষে হয়ে বড়ো হয়ে গেলাম মা, তাকেও ত মনে তুলনা না করে থাকতে পারিনে। সমাজ ছাড়া যে ধম, তার প্রতি আর যে আস্থা কোন মতেই টিকিয়ে রাখতে পারিনে মণাল। মনাল মনে মনে ক্ষম হইল। তাহার ব্যক্তিগত জীবনের দভাগ্যকে যে তিনি এমনি করিয়া নিজের সামাজিক শিক্ষা-দীক্ষার উপরেই আরোপ করিবেন, ইহা DDB DDD S DBBDBDB DDDB DDBDDD BB BBBDSS BDDDBS DBS DD TDD করে যখন আমাদের সমাজটাকে দেখতে পাবেন, তখন ওর মধ্যেও অনেক লেটি, অনেক দোষ আপনার চোখে পড়বে। দেখবেন আমরাও নিজেদের দোষগলো আপনার কাঁধের বদলে সমাজের কাঁধেই তলে দিতে ব্যস্ত । আমরাও কিন্তু কথাটা শেষ না হইতেই কেদারবাব বাধা দিয়া উঠিলেন। কহিলেন, কিন্তু আমি তো ব্যস্ত নই মা। তোমাদের সমাজে থাক না দোষ, থাক না লটি-কিন্তু তামি ত আছ। এইটিই যে আমি মাথা খড়ে মলেও পাব না। আবার মণিালের মািখ লক্ষজায় রাঙ্গা হইয়া উঠিল, বলিল, এমন করে আমাকে যদি তিমি একশ’বার লতাজা দাও বাবা, তাহলে এমনি পালাব ধে, কিছতেই আর আমাকে খাঁজে পাবে না, তা কিন্তু আগে থেকে বলে রাখছি । বদ্ধ। তৎক্ষণাৎ কোন কথা কহিলেন না, নিঃশব্দে মানমখে তাহার মাখের পানে চাহিয়া রহিলেন । তার পরে ধীরে ধীরে বলিলেন, আমিও তোমাকে আজ বলে রাখছি মা, এই কাজটিই তোমাকে কিছতেই করতে দেব না। তমি আমার চোখের মণি, তমি আমার মা, তমি আমার একমাত্র আশ্ৰয় । এই অনাথ অকমণ্য বড়োটার ভার থেকে ছটি নেবার দিন যেদিন তোমার আসবে মা, সে হয়ত বেশী দরে নয়, কিন্তু সে আমাকে চোখে দেখতে হবে না, তাও আমি বেশ জানি । বলিতে বলিতেই তাঁহার চোখের কোণে জল আসিয়া পড়িল । জামার হাতায় মাছিয়া ফেলিয়া কহিলেন, আমার একটা কাজ এখনো বাকি রয়েচে, সেটা মহিমের সঙ্গে দেখা করা। কেন সে পালিয়ে বেড়াচ্চে, একবার সম্পন্নট করে তাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই । এমনও তা হতে পারে, সে বেচে নেই ? কেন বাবা, তুমি ও-সব ভয় করচ ? ভয় ? বন্ধের মািখ দিয়া একটা দীঘ*বাস পড়িল, কহিলেন, সন্তানের মরণটাই বাপের কাছে সবচেয়ে বড় নয়। মা !