পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ একমাত্র কন্যার মােত্যুর চেয়েও যে দগতি পিতার চক্ষে বড় হইয়া উঠিয়াছে, তাহার আভাসমাত্রেই মণাল কুণ্ঠিত ও লক্তিজত হইয়া যখন নিঃশব্দে সরিয়া গেল, তখন এই সাধাৰী বিধবা মেয়েটির লক্ষজাটা যেন ঠিক একটা মাগরের মত কেদারবাবর বকে আসিয়া পড়িল । অনেকক্ষণ পর্যন্ত একাকী চাপ করিয়া নিজের পাকা দাড়িতে হাত বলাইলেন, তার পরে একটা দীঘ*বাস মোচন করিয়া ধীরে ধীরে তেলের বাটিটা ाiझा ठूलछेgaजन्म । আজ সকালবেলাটা বেশ পরিস্কার ছিল, কিন্তু মধ্যাহ্নের কিচ্ছ পর হইতেই মেঘলা করিয়া আসিতে লাগিল।. কেদারবাব এই মাত্ৰ শয্যায় উঠিয়া বসিয়া পশ্চিমের জানালাটা খালিয়া দিয়া বাহিরে চাহিয়াছিলেন, সম্পমখে একটা পণ্ডিপত পৈয়ারাগাছ ফলে ফলে একেবারে ছাইয়া গিয়াছে এবং তাহার উপরে অসংখ্যা মৌমাছির আনন্দ-কলরবের আর অন্ত নাই ; আদরে লক্ষবা দড়িতে বাঁধা মণালের সবহন্ত-পরিমাজিত চিকন পরিপশট গাভিনীটি বড় বড় নিশবাস ফেলিয়া চরিয়া ফিরিতেছে এবং তাহার পিঠের উপর দিয়া পল্লীপথের কতকটা অংশ সম্পন্ট দেখা যাইতেছে । বাবা, তোমার চা-টা এইবার নিয়ে আসি গে ? কেদারবাব ফিরিয়া চাহিয়া কহিলেন, এর মধ্যে নিয়ে আসবে মা ! বাঃ--বেলা বঝি আর আছে ? তিনি একটু হাসিয়া বালিশের তলা হইতে ঘড়িটি বাহির করিয়া বলিলেন, কিন্তু এখনো যে তিনটে বাজেনি মা ! মণাল কহিল, নাই বাজিলো বাবা তিনটে ; ও-বেলা যে তোমার মোটেই খাওয়া श्र्शन । কেদারবাব মনে মনে বঝিলেন, আপত্তি নিৰ্ম্মফল । তাই বলিলেন, আচ্ছা! আনো । মণিাল মহন্তকাল স্থির থাকিয়া কহিল, আচ্ছা বাবা, তুমি যে বড় বল, তুমি গরম চি“ড়ে বড় ভালবাসো ? কথাটা ত মিছে বলিনে মা ! उgत, उा७ fü अानि ? তাও আনবে ? আচ্ছা আনো গে, বলিয়া তাহার মাখের প্রতি চাহিয়া জোর করিয়া একটু হাসিলেন । মণিাল চলিয়া গেলে আবার সেই জানালাটার বাহিরে দণ্টিপাত করিতে গিয়াই দেখিলেন, সমস্ত ঝাপসা অস্পষ্ট হইয়া গিয়াছে ; পরীক্ষণেই পাঁচ-ছয় ফোঁটা তপ্ত অশ্র টপটপ করিয়া তাঁহার কোলের উপর ঝরিয়া পড়িল । শীণ্ড হইয়া জামার হাতায় বদ্ধ জলের রেখাদটি মাছিয়া ফেলিয়া মাখখানি শান্ত