পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গহীদাহ NRA প্রয়োজন নেই। কিন্তু তুমি বাবা সরেশ যখন সময় পাবে বাড়ির ছেলের মত এখানে এসো, যেয়ো-আমার বড় আনন্দ হবে।--কিন্তু তোমার সেই মিথ্যাচারী বন্ধরিত্নটি যেন আর কখনও এ বাড়িতে মািখ না দেখায় । দেখা হলে বলে দিও তার আর কোন লক্ষজা না থাকে-অন্ততঃ অপমানের ভয়েটা যেন থাকে । সমরেশ ঘাড়া হোেট করিয়া রহিল, তাহার মনের ভাব অনামান করিবার চেন্টা করিয়া কেদারবাব সোৎসাহে বলিয়া উঠিলেন, না, না, সরেশ, তোমার লক্ষজা বোধ করবার ত এতে কোনই কারণ নেই । বরঞ্চ কতব্য করবার গৌরব আছে । তুমি বাঝতে পারছি না যে, কি বিপদ থেকে আমাদের পরিমাণ করেছ এবং কতদার পর্যন্ত আমরা তোমার কাছে কৃতজ্ঞ । মেয়ের দিকে চাহিয়া কহিলেন, আমি কাল থেকে এই বড় আশ্চর্য হচ্ছি অচলা, সে লোকটা সরেশের মত ছেলের সঙ্গে বন্ধত্ব করেছিল কি করে, কি করেই বা এতদিন ধরে সেটা বজায় রেখেছিল । একটুখানি থামিয়া বলিলেন, যে এ পারে, সে যে আমাদের মত দটি নিরীহ মানষেকে ভুলিয়ে রাখবে, এ বেশী কথা নয়, মানি, কিন্তু এও বড় অদ্ভুত যে, এই লোকটা বাস্তবিক কি, কেমন-এটুকু অন্যাসন্ধান করার কথাও আমার মত প্ৰবীণ বয়েসের লোকের মনেও একটা দিন ওঠেনি । আশ্চর্য । সমরেশ কথা কহিল না, কেদারবাবর মাখের প্রতি মািখ তুলিয়া চাহিতে পর্যন্ত *शब् न् । কেদারবাব ক্ষণকাল অপেক্ষা করিয়া নিজের পোশাকের প্রতি দণ্টিপাত করিয়া বলিলেন, আমার অনেক কথা জিজ্ঞাসা করবার আছে। বাবা ; একটু বসে, আমি এইগলো ছেড়ে আসি ; বলিয়া প্ৰস্থানের উদ্যোগ করিতেই সরেশ কহিল, আমার বেলা হয়ে গেছে । আজ যাই, আর একদিন আসব, বলিয়া ব্যাহন্ত হইয়াই উঠিয়া পড়িল এবং কোনমতে একটা নমস্কার সারিয়া লইয়া তাঁহার সঙ্গে সঙ্গেই বাহির হইয়া গেল । কিন্তু পরদিন সকালেই আবার তাহাকে দেখিতে পাওয়া গেল এবং পরদিনও ঠিক এই সময়েই তাহার গাড়ির শব্দ নীচে অ্যাসিয়া থামিল । কিন্তু ইহার পরদিনও আবার যখন তাহার গাড়ির শব্দ শনা গেল, তখন বেলা হইয়াছে । পিতাকে রানাহারের তাগিদ দিয়া অচলা উঠিবার চেন্টা করিতেছেকিন্তু তাঁহার আর উঠা হইল না, তিনি সরেশকে সানন্দে আহবান করিয়া লইয়া গলপ শীর করিয়া দিলেন । সমরেশ ইহা লক্ষ্য করিয়াছিল বলিয়াই দই-চারিটা সাধারণ কথাবাতার পরে যখন উঠিতে গেল, তখন তাহার শক্ষিক রক্ষ মাথার প্রতি ঘনিষ্টপাত করিয়া আজি অকস্মাৎ একনিমেষেই কেদারবাব ব্যতিব্যন্ত হইয়া পড়িলেন । বলিলেন, এখনো ত তোমার মানাহার হয়নি। সরেশ বাবা ? সমরেশ সহস্যে কহিল, আমার আহার একটু বেলাতেই হয় । কেদারবাবা তাহা কানেই লইলেন না, বলিতে লাগিলেন, এবং একনিমিষেই