পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গহীদাহ OS ঠিক তাই। বলিয়া পরিতৃপ্তির রােঙ্কশ্ববাস বদ্ধ ফোঁস করিয়া ত্যাগ করিলেন এবং চেয়ারে হেলান দিয়া পড়িয়া চক্ষ মন্দিয়া পা-দটা সমাখের টেবিলের উপর তুলিয়া দিলেন । আনন্দে এবং আরামে তাঁহার সবর্ণাঙ্গ যেন ক্ষণকালের জন্য শিথিল হইয়া গেল । কিছদ্মক্ষণ। এইভাবে থাকিয়া পা নামাইয়া উদ্দীপ্ত-স্বরে কহিলেন, একবার ভেবে দেখা দিকি মা, কোথেকে কি হল । এই সব শক্তিমানের হাত কি এতে সম্পন্ট দেখতে পােচ্ছ না ? অচলা নীরবে পিতার মািখপানে চাহিয়া রহিল । তিনি উত্তরের জন্য অপেক্ষা না করিয়াই বলিতে লাগিলেন, আমি চোখের উপর দেখতে পাচি এ শািন্ধ তাঁর দয়া । তোমাকে বলব কি মা, এই দটো বৎসর একটা রাত্রিও আমি ভাল করে ঘমোতে পারিনি-শােধ তাঁকে ডেকেচি ৷ আর সরেশকে দেখাবামাত্রেই মনে হয়েছে, সে যেন পােবজন্মে আমার সন্তান ছিল । অচলা চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। পিতার সাংসারিক দরবস্থার কথা সে জানিত বেশ, কিন্তু তােহা এতটা দ্বার পর্যন্ত ভিতরে ভিতরে অগ্রসর হইয়া পড়িয়াছিল, ইহাই জানিত না । আজ দই বৎসরের একাগ্র আরাধনায় তাহার দঃখের সমস্যা যদি বা মঙ্গলময়ের আশীবাদে অকস্মাৎ লাঘৱ হইয়া গেল বটে, কিন্তু তাহার নিজের সমস্যা একেবারে ভীষণ জটিল হইয়া দেখা দিল । সমরেশের কাছে টাকা লওয়া সম্পবন্ধে সে MsgBu BB BO BB BDBD DBDDBB BBDuDDDS DD BDLY DDDDS BDB করিতে হইল । লেশমাত্র বাধা দিবার কথা সে আর মনে করিতে পারিল না । যাই হোক, টাকাটা তাহদের গ্রহণ করিতেই হইবে । সান্ধ্য উপাসনার জন্য কেদারবাব উঠিয়া গেলেন । অচলা সমস্ত ব্যাপারটা গোড়া হইতে শেষ পযন্ত মনের মধ্যে সম্পন্ট করিয়া উপলবিধ করিবার জন্য সেখানেই अब श्रेक्षा दूश्न । যে দাই বন্ধ আজ অকস্মাৎ তাহার জীবনের এই সন্ধিস্থলে এমন পাশাপাশি আসিয়া দাঁড়াইয়াছে, তাহদের একজনকে যে আজ যাও, বলিয়া বিদায় দিতেই হইবে, তাহাতে বিন্দমাত্ৰ সংশয় নাই ; কিন্তু কাহাকে ? কে সে ? যে মহিম তাহার অসন্দ্ৰিন্থ বিশদ্বাসে, কে জানে কোন কতব্যের আকষাণে, নিশিচন্ত নিরদ্বেগে বসিয়া আছে তাহার, শান্ত স্থির মািখখানা মনে করিতেই একটা প্রবল বাম্পোচ্ছিৰাসে অচলার দ্বাই চক্ষৰ পরিপািণ হইয়া উঠিল । কোনদিন যে কোন অপরাধ করে নাই, অথচ, “যাও’ বলিতেই সে নিঃশব্দে বাহির হইয়া যাইবে । এ জীবনে, কোন সত্ৰ, কোন ছলেই আর তাহাদের পথে আসিবে না । অচলা সম্পলেট দেখিতে লাগিল, সেই অভাবনীয় চিরবিদ্যায়ের ক্ষণেও তাহার অটল গাম্পভীষ এক তিল বিচলিত হইবে না, কাহাকেও দোষ দিবে না, হয়ত কারণ পযন্তও জানিতে চাহিবে না-নিগঢ়ি বিস্ময় ও তীব্র বেদনার একটা অস্পষ্ট রেখা হয়ত বা মাখের উপর দেখা দিবে, কিন্তু সে ছাড়া আর কাহারো তাহা চোখেও পড়িবে না । তাহার পরে একদিন সরেশের সঙ্গে বিবাহের কথা তার কানে উঠিবে । সেই মহাতের অসতক অবসরে হয়ত বা একটা দীঘশবাস পড়িবে, না হয়, একটু মচকিয়া