এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুরো। আমার যতীন ওকে বোঝে, সে তো কোনোদিন—
প্রতিবেশিনী
তা দিদি, সে কিছুই বলে না ব’লেই কি—
মাসি
শুধু বলে না? ও যে কখনো জাদুঘরে কখনো বা বাঘভাল্লুক দেখতে যায়, এতেই তার আনন্দ।
প্রতিবেশিনী
বল কী দিদি। সেবাটা কি তার চেয়ে—
মাসি
ও তো বলে মণির পক্ষে এইটেই সেবা। যতীন নিজে বিছানায় বদ্ধ থাকে, মণি ঘুরে বেড়িয়ে এলে সেইটেতেই যতীন যেন ছুটি পায়। রুগীর পক্ষে সে কি কম।
প্রতিবেশিনী
কী জানি ভাই, আমরা সেকেলে মানুষ, ও-সব বুঝতে পারি নে। তা যা হোক, আমার ছেলেকে পাঠিয়ে দেব দিদি। সে জগু ডাক্তারের ঠিকানা জানে। একবার তাকে ডেকে দেখাতে দোষ কী।
[ প্রস্থান
৩৫