এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মাসি
ঐটুকু তো মেয়ে, মনে হয় যেন ননী দিয়ে তৈরি, কিন্তু কী পাথরে গড়া ওর প্রাণ।
শৈল
ওকে তো অনেকদিন থেকে দেখছি, কিন্তু এতটা যে পারে তা জানতুম না। এ দিকে দেখো, কুকুর বেড়াল বাঁদর ময়ুর জন্তু-জানোয়ার কত পুষেছে তার ঠিক নেই— তাদের কিছু হলেই অনর্থপাত করে দেয়, অথচ স্বামীর উপরে— ওকে বুঝতে পারলুম না।
মাসি
যতীন ওকে মর্মে মর্মেই বুঝেছিল। একদিন দেখেছি যতীন মাথা ধ’রে বিছানায় প’ড়ে, মণি দল বেঁধে থিয়েটরে চলেছে। থাকতে না পেরে আমি যতীনকে পাখার বাতাস করতে গেলুম। ও আমার হাত থেকে পাখা ছিনিয়ে নিয়ে ফেলে দিলে। ওরে বাস্ রে কী ব্যথা। সে-সব দিনের কথা মনে করলে আমার বুক ফেটে যায়।
শৈল
তাও বলি মাসি, অমনি পাথরের মতো মেয়ে না হলেও পুরুষদের উড়ো মন চাপা দিয়ে রাখতে
৬৯