পাতা:গোচারণের মাঠ.pdf/২৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পাপিয়া।
২৩

দৈয়াল রসাল রাগে, না করে বিকল,
হিয়ায় না বিঁধে তীর ‘ফটীঈক জল,’
এখন পাপিয়া সুরো বিমানেতে ভাসে,
‘উহু উহু সব্‌ গেলো,’ রব কাণে আসে।
সরলা কৃষক বালা খাটে সারাদিন,
না জানে বিলাস ভোগ, লালস সৌখীন;
বিকালে বিরাম পায় ,গৃহ কাজ হ’তে,
কাঁখেতে কলস লয়ে আসে সেই পথে;
পুরাণ দীঘির পাড়ে সেই ভাঙা ঘাট,
সারি সারি বসে সবে নাহি জানে ঠাট;
দিনের দুখের কথা কহিতে লাগিল,
বালিকার মাঝে যারা পতিহীনা ছিল,—
না কহে অধিক কথা, না নাড়ে নয়ন,
ডুবিছে তপন দেব দেখে এক মন।
ভাঙা ঘাটে; রবি পাটে; দেখিল আঁধার,
ভাঙা কপালের কথা মনে হল তার;
উপরে দেবতা পানে দেখিল চাহিয়া,
‘উহু উহু সব্‌ গেল,’ বলিল পাপিয়া;
চখে কি পড়িল বলি বাঁপিল আঁচল,
নামিল কাঁপিল তাহে সরোবর জল।