পাতা:গোবিন্দরাম - পাঁচকড়ি দে.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোবিন্দরাম । \Sბა কখন এরা দুজন তোমার বাড়ী থেকে বার হয়ে যান ? সত্য কথা বল, আমি পুলিশের লোক।” বুড়ীর মুখ আরও পাংশুবৰ্ণ হয়ে গেল, তার মুখ দিয়ে আর কথা সরে না । সেই সময় মেয়েট বলে উঠল, “মা, মিথ্যা কথা বলা মিছে। যা যা হয়েছে সব একে বল । দাদা তাতে সন্তুষ্ট ভিন্ন অসন্তুষ্ট হবেন না।’ মেয়ের কথা শুনে বুড়ী ভয়ানক রেগে উঠল। ‘পাগলী হতভাগী, তুই ত তোর দাদাকে মারুলি।” বলে বুড়ী কঁদতে আরম্ভ করে দিল। আমি বললেম, আমাকে সত্য কথা বল,সব ঠিক ঠিক বললে বরং তোমাদের উপকার হবে।” তখন বুড়ী চোখের জল মুছে বলতে লাগল,-“মনে করবেন না, যে আমার ছেলে এই খুন করেছে, সে এর কিছুই জানে না। তবে পাছে আপনারা তাকে খুনী বলে সন্দেহ করেন, এইজন্যই আমার ভয়।” বলেই বুড়ী থেমে গেল। আমি তখন বললেম, সব খুলে বললে উপকার আছে।” বুড়ী বললে, দুজন মারাঠী ভদ্র । লোক আমাদের বাড়ীতে এক মাস বাসা করে আছেন। আমরা বড় গরীব, খরচ চলে না বলে বার দিকটা ভাড়া দিই। এমন হবে জানলে কে এমন কাজ করে। সে যা হক, কাল একজন মারাঠা খুন হয়েছে। শুনে, আমি তাকে দেখতে যাই ; গিয়ে দেখি যার নাম বালকিয়ণ । লক্ষ্মণ রাও, তিনিই খুন হয়েছন। ইনি খুব বড় লোক বলে বোধ হয়, দু। হাতে টাকা খরচ করতেন। আর একজন যার নাম শঙ্কর রাম পাণ্ডুরাং, সে বােধ হয় এর মোসাহেব ছিল। কিন্তু বড় লোক হলে কি হয়,-লোক বড় ভাল নয়। ভয়ানক মাতাল,রোজই বোতল বোতল । মদ খেত, আর—” বলতে বলতে বুড়ী মধ্যপথে আবার থেমে গেল। আমি বললেম, কিছু গোপন কর না, সব সত্য বল।” বুড়ী বললে, আর এরা দুজনেই একদিন রাত্রে আমার মেয়ের উপর অত্যাচার করতে । চান, আহা! বাছা আমার কত কেঁদেছে। সেই কথা শুনে গোকুল