পাতা:গোবিন্দরাম - পাঁচকড়ি দে.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o গোবিন্দরাম প্ৰসাদ আমার, এদের উঠিয়ে দেবার চেষ্টা করতে লাগল। এমন সময়ে -এই পরশু এরা একটা তারের খবর পেয়ে নিজেই জিনিষ-পত্ৰ গুছিয়ে দেশে যাবার জন্য আন্দাজ রাত আটটার সময় ষ্টেশনে রওনা হয়। তারা চলে যেতে আমি খুব খুদী হলেম। কিন্তু রাত্রি এগারটা কি বারটার সময় আবার দেখি হঠাৎ বালকিষণ আমাদের ঘরে এসে উপস্থিত হল । বাছা গোকুলপ্ৰসাদের রাত্রে রেলে কাজ ছিল, সে তখনও ফিরে নাই বলে দরজা খোলা ছিল।’ আমি জিজ্ঞাসা করলেম, ‘হঁ, বালকিষাণ এসে কি করলে ?” বুড়ী বললে, “দেখি ভয়ানক মাতাল হয়ে এসেছে। আমার মেয়েকে ছুটে ছুটি টলৌ টলে ধরুতে যায়, আমার সমুখে তাকে টেনে নিয়ে বেরিয়ে যেতে চায়। আমি একলা কি করুব, এই মাতালের হাত থেকে কেমন করে রক্ষা পাব, চেচিয়ে লোক ডাকব মনে করছি, ঠিক সেই সময়ে আমার ছেলে গোকুলপ্ৰসাদ এসে পড়ল। সে এসে সেই মাতালটার গলা ধরে তাকে রাস্তায় দিয়ে এল। তাতেও সে যায় না। দরজার সমুখে ভারি মাতলামী করতে লাগল, তখন আবার গোকুলপ্ৰসাদ একটা লাঠী নিয়ে তাকে তাড়িয়ে দিতে গেল।” আমি জিজ্ঞাসা করলেম, “তার পর তোমার ছেলে কখন ফিরে এল ?’বুড়ী বললে, প্রায় ঘণ্টা দুই পরে।”আমি জিজ্ঞাসা করলেম, “এতক্ষণ কোথায় ছিল, কিছু বললে ?” বুড়ী বললে, “হা, আমরা তার জন্য বসেছিলাম । এসে বললে যে তাকে রেল থেকে ডাকৃতি এসেছিল, তাই রেল-আফিসে গিয়েছিল।” আমি দেখলেম, সন্দেহের আর কিছুই নাই, ঠিক পথেই এসে পড়েছি ; তথাপি বুড়ীকে জিজ্ঞাসা করলেম, আর সেই লোকটার কোন কথা তুমি তোমার ছেলেকে জিজ্ঞাসা কর নাই?” বুড়ী বললে, “হাঁ জিজ্ঞাসা করেছিলাম বই কি। তা সে বললে যে, তার হাতে লাঠী দেখে সে ভয়ে পালিয়ে গেছে। গোকুলপ্রসাদ।