পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S(to গৌড়ের ইতিহাস । ব্রাহ্মণ রাজগৃহ বনে এক অশ্বমেধষজ্ঞ করেন। তিনি দক্ষিণাপথ হইতে বৎস, উপমম্বা, কৌশুিষ্ঠ, গৰ্গ, হারিত, তৈম, শাণ্ডিল্য, ভরদ্বাজ, কৌশিক, কাশুপ, বশিষ্ঠ, বাৎস্ত, সাবর্ণি ও পরাশর এই চোদগোত্রীয় ব্রাহ্মণ আনয়ন করেন ও তাহাদিগকে নানাস্থান দান করেন। পরবর্তী কালে তাহাদিগের বংশীয়গণ বঙ্গদেশের নানাস্থানে বিস্তৃত হইয়া পড়েন । এই বৈদিক ব্রাহ্মণের দাক্ষিণাত্য বৈদিক নামে প্রখ্যাত হন । রাজা আদিশূর যেমন রাঢ়ীয় ও বারেন্দ্র ব্রাহ্মণগণের পূর্বপুরুষকে কান্তকুজ হইতে গৌড়ে আনয়ন করিয়া প্রসিদ্ধ হইয়া গিয়াছেন, রাজা হরিবর্ম ও শু্যামলবৰ্ম্মাও সেইরূপ বৈদিক ব্রাহ্মণদিগের প্রতিপালক বলিয়া প্রসিদ্ধ হইয়াছেন। তৎকালে রাঢ়ী ও বারেন্দ্র ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে কেহ সাগ্নিক ছিলেন না, বেদচর্চাও তাহাদিগের মধ্য হইতে বিলুপ্ত হইয়াছিল। পশ্চিমাঞ্চলে তখনও বেদচর্চা ছিল । যে সকল ব্রাহ্মণ পশ্চিমাঞ্চল হইতে এদেশে আগমন করিতেছিলেন, তাহারাই বৈদিক নামে পরিচিত হইতে লাগিলেন । দেশের অবস্থা । এই যুগে যে সকল ভাষাগ্রন্থ পাওয়া গিয়াছে, তাহাতে সংস্কৃতের তত প্রভাব নাই। স্ত্রীপুরুষের নামগুলি প্রায় সংস্কৃতের সম্পর্কশূন্ত । ডাকের বচনগুলি খৃষ্টীয় অষ্টম হইতে দ্বাদশ শতাব্দী মধ্যে রচিত। ইহাতে পুষ্করিণী-খনন, পথ-ঘাট-নিৰ্ম্মাণ, বৃক্ষরোপণ, মগুপদান ইত্যাদি সংকৰ্ম্ম করিবার উপদেশ আছে। ডাকের বচনগুলির আদিম ভাষা ক্রমশঃ পরিবর্তিত হইয়াছে। লোকসাধারণকে ধৰ্ম্মকার্ঘ্যে প্রবৃত্ত করিবার জন্য উচ্চৈঃস্বরে ষে সকল উপদেশ প্রচার করা হইত, তাহাই ডাকের বচন